ব্যাটিং ব্যর্থতায় 'বি' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
Published : 31 Aug 2023, 03:10 PM
আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া কাপের পর্দা উঠেছে বুধবার। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন শুরু হচ্ছে ‘বি’ গ্রুপের লড়াই৷ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ছাড়া এই গ্রুপের অন্য সদস্য আফগানিস্তান।
এই গ্রুপ থেকেও দুটি দল পাবে সুপার ফোরের টিকেট।
গত বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপেও এই তিন দল ছিল একই গ্রুপে। যেখানে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে পরের রাউন্ডে নাম লেখায় শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান।
বিশ্বকাপে চোখ রেখে এশিয়া কাপ অভিযানে নামছে বাংলাদেশ। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে মাঠের লড়াই।
সার্বিক মুখোমুখি পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। তবে সবশেষ সিরিজে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ওয়ানডে সংস্করণে বেশ কয়েক বছর ধরেই দারুণ ছন্দে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা।
মুখোমুখি লড়াই ছাড়াও দুই দলকে এবার লড়তে হবে নিজেদের চোট সমস্যা নিয়েও। মূল বোলারদের কাউকেই পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দলে চোটের কারণে নেই তামিম ইকবাল ও ইবাদত হোসেন চৌধুরি, জ্বরে ছিটকে গেছেন লিটন কুমার দাস।
নতুন ও অনভিজ্ঞ উদ্বোধনী জুটি নিয়ে খেলবে হবে বাংলাদেশকে। বিপরীতে শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণও অনেকটা নতুন। সব মিলিয়ে দুই দল প্রায় সমান্তরালেই দাঁড়িয়ে।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতল বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিলেন ব্যাটিং। এর কারণ হিসেবে শুষ্ক উইকেটের কথা বললেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ভালো একটি সংগ্রহ দাঁড় করানোর লক্ষ্য তাদের।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাও জানালেন, টস জিতে আগে ব্যাটিং নিতেন তিনি। তবে বৃষ্টির শঙ্কা থাকায় ফিল্ডিং করতেও সমস্যা নেই তার দলের।
এশিয়া কাপের বড় মঞ্চে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো তানজিদ হাসানের। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ১৪৩তম ক্রিকেটার তিনি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৭৮তম উদ্বোধনী জুটি এটি।
তিন পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে রয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান। ওয়ানডেতে প্রায় আড়াই বছর পর একাদশে জায়গা পেলেন তিনি। নিজের তিন ওয়ানডের সবশেষটি ২০২১ সালের মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদের পাশাপাশি রাখা হয়েছে দুই বাঁহাতি মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামকে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে একাদশ সাজিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলারের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে দুজন অলরাউন্ডার।
পেস আক্রমণে রয়েছেন কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা। একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার মাহিশ থিকশানা। স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে আছেন দুনিথ ওয়েলালাগে, ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। অধিনায়ক দাসুন শানাকাও করেন মিডিয়াম পেস বোলিং।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিসানকা, দিমুথ কারুনারত্নে, কুসাল মেন্ডিস, ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা, সাদিরা সামারাউইক্রামা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মাহিশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, কাসুন রাজিথা।
আন্তর্জাতিক অভিষেকটা সুখকর হলো না তানজিদ হাসানের। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন তরুণ ওপেনার।
মাহিশ থিকশানার মিডল স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ। দুই বল খেলে 'ডাক' সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি।
ওয়ানডে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়া ১৬তম বাংলাদেশি তিনি।
১.২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪/১। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
তানজিদ হাসানের পর একই ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর বিরুদ্ধেও এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করলেন মাহিশ থিকশানা। তবে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে রিভিউ নিলেন দাসুন শানাকা।
টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বলটি 'পিচ' করেছে লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে। ফলে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কার রিভিউ। বেঁচে যান শান্ত। শেষ বলে সাফল্য না পেলেও ওভারটি 'উইকেট মেডেন' করেন থিকশানা।
২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
কাসুন রাজিথার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি অন ড্রাইভ করার চেষ্টায় ঠিকভাবে খেলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল চলে যায় মিড অনের দিকে।
সামনে লাফিয়ে বলের কাছাকাছি চলে যান দাসুন শানাকা। ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও মুঠোয় রাখতে পারেননি শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। ফলে ২ রানে জীবন পেয়ে গেলেন শান্ত। ১২ বলে ২ রানে খেলছেন তিনি।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈমের সংগ্রহ ১৩ বলে ৯ রান।
৪.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১ রান।
আশা জাগিয়েও তেমন কিছু করতে পারলেন না মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ২৩ বলে ১৬ রান করে বিলিয়ে এলেন নিজের উইকেট।
অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ বলে ক্রিজ ছেড়ে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে কিছুটা টেনে দেওয়া ডেলিভারির পিচ পর্যন্ত যেতে পারেননি।
দূর থেকে শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল উঠে যায় আকাশে। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন পাথুম নিসানকা।
৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৫ রান। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের সবাই বাঁহাতি। ওয়ানডেতে ১২ বছরের বেশি সময় পর এমনটা দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।
এ নিয়ে চতুর্থ বার প্রথম চারে চার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১১ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের সবাই ছিলেন বাঁহাতি। সেদিন ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
টানা পাঁচ বাঁহাতি নিয়ে খেলার নজিরও রয়েছে বাংলাদেশের। ২০১১ বিশ্বকাপেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যায় সেটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন সুবিধার হলো না বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন দুই ওপেনার। স্কোর বোর্ডে জমা হয়েছে ৩৪ রান।
প্রথম ওভারে কাসুন রাজিথাকে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পরের ওভারে মাহিশ থিকশানার বলে এলবিডব্লিউ হন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান। শূন্য হাতেই ফেরেন তিনি।
পরে একবার রিভিউ ও একবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। নাঈম শেখ রয়ে সয়ে এগোতে থাকলেও হুট করে বড় শটের চেষ্টায় বিলিয়ে দেন নিজের উইকেট। ২৩ বলে করেন ১৬ রান।
স্রেফ ২৫ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরার চেষ্টায় এখন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
বেশি দূর যেতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই বাংলাদেশ অধিনায়কের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন মাথিশা পাথিরানা। ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারি কাট করার চেষ্টা করেন সাকিব। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন কুসাল মেন্ডিস।
১১ বলে ১ চারে ৫ রান করেন সাকিব। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ২৮ বলে ১৩ রানে।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৭ রান।
মাথিশা পাথিরানার লেংথ ডেলিভারি পয়েন্টের দিকে কাট করেই ১ রান নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ পৌঁছে গেল পঞ্চাশ রানে। যা ছুঁতে লাগল ঠিক ১৩ ওভার।
এরই মধ্যে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে লড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়। শান্ত ৩৭ বলে ২২ ও হৃদয় ৫ বলে ৫ রানে খেলছেন
শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। এজন্য তারা খেলেছেন ৭০ বল।
স্রেফ ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সিঙ্গেলস-ডাবলসের দিকে নজর দেন হৃদয়। অন্য প্রান্তে রয়ে-সয়ে এগোতে থাকেন শান্তও। ফিফটির কাছে পৌঁছে গেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
২২.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৬ রান। শান্ত ৬২ বলে ৪৫, হৃদয় ৩৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত।
দাসুন শানাকার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না। বল প্যাডে আঘাত করতেই শানাকার জোরাল আবেদন। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
অল্প কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত মিডল স্টাম্পে। ফলে বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেজে যায় হৃদয়ের বিদায়ঘণ্টা। ভাঙে ৮০ বল স্থায়ী ৫৯ রানের জুটি।
৪১ বলে ২০ রান করেছেন হৃদয়। ২৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৫ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ৬৭ বলে ৫২ রানে।
দুনিথ ওয়েলালাগের পরপর দুই বলে বাঁচলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম বলে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত বল।
ফলে বিফলে যায় রিভিউ। একইসঙ্গে দুটি রিভিউই শেষ হয় শ্রীলঙ্কার। এর আগে শান্তর বিরুদ্ধেই ব্যর্থ হয় তাদের প্রথম রিভিউ।
পরের বল শান্তর ব্যাটের নিচের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। তবে সেটি গ্লাভসে নিতে পারেননি কুসাল মেন্ডিস। ৫২ রানে বেঁচে যান শান্ত। এর আগে ২ রানের মাথায় দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়েও জীবন পান তিনি।
২৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৭ রান। শান্ত ৭১ বলে ৫৩ ও মুশফিকুর রহিম ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত।
শ্রীলঙ্কার আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের গতি বাড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে পঞ্চাশ করার পর একশতে পৌঁছতে লেগেছে ১২.৪ ওভার। তবে প্রথম পঞ্চাশে ৩ উইকেট হারালেও, দ্বিতীয়তে পড়েছে ১টি।
২৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০২ রান। অষ্টাদশ ওভারে রান রেট চলে যায় চারের নিচে। যা এখনও চারের নিচেই রয়েছে।
ফিফটি ছুঁয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ৭৩ বলে ৫৫ রানে। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৬ বলে ৪ রানে।
দারুণ বাউন্সারে মুশফিকুর রহিমকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন মাথিশা পাথিরানা। অফ স্টাম্পের বাইরে মাথার ওপরের উচ্চতায় ওঠা বাউন্সার আপার কাটের মতো খেলেন মুশফিক। তবে দূরত্ব পাননি।
ডিপ থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো দিমুথ কারুনারত্নে জায়গায় দাঁড়িয়েই নেন সহজ ক্যাচ। ১ চারে ২২ বলে ১৩ রান করে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ে ভাঙে নাজমুল হোসেস্ন শান্তর সঙ্গে গড়া ৫৩ বলে ৩২ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
৩৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৭ রান। ৯৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত শান্ত। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
কাসুন রাজিথার লেংথ বল স্কয়ার লেগের দিকে খেললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল গেল সোজা ফিল্ডার বরাবর। তবে দ্রুত রানের আশায় ছুটলেন নন স্ট্রাইকে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে বের হলেও পরে আর তাতে সায় দিলেন না মিরাজ।
বল ধরে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে স্টাম্প ভাঙেন রাজিথা। ততক্ষণে মিরাজেই আগেই স্ট্রাইক প্রান্তে পপিং ক্রিজে ঢুকে যান শান্ত। ফলে বেঁচে যান তিনি। রান আউটে কাটা পড়েন মিরাজ।
১১ বলে ৫ রান করে ফিরলেন মিরাজ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান প্রায় আড়াই বছর পর ফেরা শেখ মেহেদী হাসান। শান্ত অপরাজিত ১১৩ বলে ৮০ রানে।
৩৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৫ রান।
মাহিশ থিকশানার দুসরা পড়তে পারেননি শেখ মেহেদি হাসান। ভেতরে ঢুকবে ভেবে সোজা ব্যাটে খেলেন তিনি। কিন্তু পিচ করার পর টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে ক্রিজের বাইরে চলে আসেন মেহেদি।
তবে প্রথম দফায় বল গ্লাভসে নিতে পারেননি কুসাল মেন্ডিস। সেই সুযোগে পপিং ক্রিজে ফেরত চলে যান মেহেদি। মেন্ডিস পরে বল নিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও কোনো ফায়দা হয়নি শ্রীলঙ্কার। ৩ রানে বেঁচে যান মেহেদি।
৩৯.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ১১৮ বলে ৮৭ রান নিয়ে।
অন্যপ্রান্তে বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই লড়ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট পতনের পর ক্রিজে গিয়ে জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির প্রছন্ন সম্ভাবনা। তবে নব্বইয়ের ঘরে ঢোকার আগেই তাকে ফেরালেন মাহিশ থিকশানা।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে থিকশানার ক্যারম ডেলিভারি আলতো করে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে বলের লাইন মিস করেন তিনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
৭ চারে ১২২ বলে ৮৯ রান করে ফিরলেন শান্ত। তার বিদায়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ,
এর আগের ওভারে দুনিথ ওয়েলালাগের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৬৩ রান। ক্রিজে নিচের সারির দুই ব্যাটসম্যান শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।
শুষ্ক উইকেটে ভালো কিছুর আশায় টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানান সাকিব আল হাসান। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেননি অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের ৪৪ বল বাকি থাকতে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর ৮৯ ব্যতীত আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
চোটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দলের মূল বোলারদের ৪ জন নেই এবারের এশিয়া কাপে। বিকল্প বোলারদের নিয়েই বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নিলো স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচের ছোট্ট ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিংয়ে মাথিশা পাথিরানার শিকার ৩২ রানে ৪ উইকেট।
মাহিশ থিকশানার ঝুলিতে জমা পড়ে ২ শিকার।
ওয়ানডে সংস্করণে ১৭৪ রানের কম করে কখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচ জিততে নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে সাকিবের দলকে।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ১২২ বলে ৭টি চার মারেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আরেক তরুণ তাওহিদ হৃদয়। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন শুধু মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিম।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৯ রান যোগ করেন শান্ত, হৃদয়। আর কোনো জুটিই উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ (নাঈম ১৬, তানজিদ ০, শান্ত ৮৯, সাকিব ৫, হৃদয় ২০, মুশফিক ১৩, মিরাজ ৫, মেহেদি ৬, তাসকিন ০, শরিফুল ২*, মুস্তাফিজ ০; রাজিথা ৭-০-২৯-০, থিকশানা ৮-১-১৯-২, ধানাঞ্জয়া ১০-০-৩৫-১, পাথিরানা ৭.৪-০-৩২-৪, ওয়েলালাগে ৭-০-৩০-১, শানাকা ৩-০-১৬-১)
এক ওভারেই বাংলাদেশের শেষ ২ উইকেট তুলে নিলেন মাথিশা পাথিরানা। গুড লেংথে করা স্লোয়ার ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে কভারে সহজ ক্যাচ দেন তাসকিন আহমেদ। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এক বল পর মিডল স্টাম্পের ওপর প্রায় একই গতির ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আউটের সিদ্ধান্ত জানাতে সময় নেননি আম্পায়ার।
স্রেফ রিপ্লে দেখার জন্যই যেন রিভিউ নেন মুস্তাফিজ। যেখানে তিনটি লাল বাতি জ্বলে উঠলে সমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। মুস্তাফিজও ফেরেন শূন্য রানে।
অল্প পুঁজিতে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ ডেলিভারিতে তিনি বোল্ড করলেন বাঁহাতি ওপেনার দিমুথ কারুনারত্নেকে।
তাসকিনের জোরের ওপর মিডল স্টাম্প লাইনে করা ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ভুল লাইনে খেলেন কারুনারত্নে। বল তার ব্যাটের ফাঁক গলে প্যাড ছুঁয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
৩ বলে ১ রান করেন কারুনারত্নে। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান কুসাল মেন্ডিস। ১২ রানে খেলছেন আরেক আরেক ওপেনার পাথুম নিসানকা।
পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের পর এবার উইকেট শিকারে নাম লেখালেন শরিফুল ইসলাম।
চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের ডেলিভারি তাড়া করতে গিয়ে পাথুম নিসানকার ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে। কিছুটা নিচু হয়ে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।
১ চারে ১৩ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন নিসানকা। দুই ওপেনারের উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান কুসাল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাউইক্রামা।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন সাদিরা সামারাউইক্রামা, কুসাল মেন্ডিস। তাদের বেশি দূর যেতে দিলেন না সাকিব আল হাসান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফেরালেন মেন্ডিসকে।
সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি টার্নের আশা খেলেন মেন্ডিস। কিন্তু পিচ করে অ্যাঙ্গেলে ঢুকে যায় ভেতরে। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত করে স্টাম্পে।
২১ বলে ১ চারে স্রেফ ৫ রান করে ফিরলেন মেন্ডিস। পাওয়ার প্লে শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৪ রান।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান চারিথ আসালাঙ্কা। ২০ বলে ১৯ রানে খেলছেন সামারাউইক্রামা।
ছোট লক্ষ্যে অল্পেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চাশ পূর্ণ করতে তাদের লাগল ১২ ওভার। এরই মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন দিমুথ কারুনারত্নে, পাথুম নিসানকা, কুসাল মেন্ডিস।
তৃতীয় ওভারে কারুনারত্নেকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারের নিসানকাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মেন্ডিসের প্রতিরোধ ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
জুটি গড়ায় চেষ্টায় লড়ছেন সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা। সামারাউইক্রামা ২৩ বলে ২২ ও আসালাঙ্কা ১২ বলে ৪ রানে খেলছেন।
সাকিব আল হাসানের অফ স্টাম্প থেকে টার্ন করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাট ঘেঁষে প্যাড ছুঁয়ে বল হাওয়ায় ভেসে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সংশয়ে ছিলেন মুশফিকও। তবে প্রায় নিশ্চিতই ছিলেন সাকিব। তাই সঙ্গে সঙ্গে নেন রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে আর কোথাও স্পর্শ করেনি বল।
ফলে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের প্রথম রিভিউ। বেঁচে যান আসালাঙ্কা।
১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬১ রান। আসালাঙ্কা ২৩ বলে ১০ ও সাদিরা সামারাউইক্রামা ৩০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত।
শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা। এরই মধ্যে দুজনের জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ। ২২তম ওভারে শ্রীলঙ্কা পূর্ণ করেছে একশ রান।
২২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। জয়ের জন্য ২৮ ওভারে আর ৬৫ রান প্রয়োজন। সামারাউইক্রামা, আসালাঙ্কার অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটির সংগ্রহ ৭৬ বলে ৫৭ রান।
ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৫৩ বলে ৪৩ রানে খেলছেন সামারাউইক্রামা। আসালাঙ্কা করেছেন ৪২ বলে ২৬ রান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করলেন সাদিরা সামারাউইক্রামা। চাপের মুখে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫৯ বল খেলে ৬ চারে পৌঁছান এই মাইলফলকে।
সামারাউইক্রামার ফিফটিতে জয়ের পথে শ্রীলঙ্কা। ২৪ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৪ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ৫১ রান।
চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে সামারাউইক্রামার অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৮৮ বলে ৭১ রান। আসালাঙ্কা খেলছেন ৪৮ বলে ৩১ রানে।
উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে আশা জাগালেন শেখ মেহেদি হাসান। দারুণ বোলিংয়ে তিনি স্টাম্পড করলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা সাদিরা সামারাউইক্রামাকে।
মেহেদি অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন সামারাউইক্রামা। বল তার ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। প্রথম দফায় ঠিকঠাক গ্লাভসে নিতে পারেননি মুশফিক।
তবে সামারাউইক্রামা অনেক দূর বেরিয়ে যাওয়ায় আর ফেরার সুযোগ পাননি। বাড়তি সময় পেয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন মুশফিক। সামারাউইক্রামার বিদায়ে ভাঙল ১১৯ বলে ৭৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করা সামারাউইক্রামা ফিরলেন ৬ চারে ৭৭ বলে ৫৪ রান করে। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। চারিথ আসালাঙ্কা অপরাজিত ৬১ বলে ৩৪ রানে।
৩০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৩ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ৪২ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন সাকিব আল হাসান। সবশেষ তিন ওভারে দুই মেডেনসহ তিনি দেন স্রেফ ২ রান। টানা চতুর্থ ওভারে পেলেন সাফল্য, ফেরালেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভাকে।
সাকিবের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে ইয়র্কার ধরনের বানিয়ে ফেলেন ধানাঞ্জয়া। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। অফ সাইডে খেলার চেষ্টায় নিজের মিডল স্টাম্প ভাঙতে দেখেন তিনি।
৭ বলে ২ রান করে ফিরলেন ধানাঞ্জয়া। পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ফের আশা জাগাল বাংলাদেশ।
৩১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৮ রান। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ৩৭ রান।
বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে এখনও টিকে আছেন চারিথ আসালাঙ্কা। ৬৫ বলে তার সংগ্রহ ৩৯ রান।
চাপের মুখে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করলেন চারিথ আসালাঙ্কা। রয়ে সয়ে ব্যাটিংয়ে করলেন ফিফটি। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের জয়ের দুয়ারে শ্রীলঙ্কা।
ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি ছুঁতে আসালাঙ্কা খেলেছেন ৮৫ বল। চার মেরেছেন ৪টি।
৩৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫০ রান। জয়ের জন্য বাকি আর ১৫ রান।
দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে অল্পে বেধে রাখেন মাথিশা পাথিরানা, মাহিশ থিকশানারা। ছোট লক্ষ্যে শুরুতে চাপে পড়লেও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কারা।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা। ১৬৫ রানের লক্ষ্য ৬৬ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলল স্বাগতিকরা।
এই জয়ের ম্যাচে জোড়া রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ১১ ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে তারা। এই সংস্করণে যা বিশ্ব রেকর্ড। টানা ১০ ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার।
এই ১১ ম্যাচের সবকটিই জিতেছে লঙ্কানরা। এই প্রথম টানা ১১ ওয়ানডে জিতল তারা। এর আগে ২০০৪ ও ২০১৩-১৪ সালে দুই দফা টানা ১০ ওয়ানডে জেতে তারা। এই সংস্করণে টানা ২১ ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ে বড় অবদান পাথিরানার। থিকশানা ধরেন ২ শিকার।
বাংলাদেশের পক্ষে বলার মতো রান করেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে তিনি খেলেন ৮৯ রানের ইনিংস। আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। পরে সামারাউইক্রামা, আসালাঙ্কার ৭৮ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সামারাউইক্রামা ৫৪ রান করে ফিরলেও ৬২ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ (নাঈম ১৬, তানজিদ ০, শান্ত ৮৯, সাকিব ৫, হৃদয় ২০, মুশফিক ১৩, মিরাজ ৫, মেহেদি ৬, তাসকিন ০, শরিফুল ২*, মুস্তাফিজ ০; রাজিথা ৭-০-২৯-০, থিকশানা ৮-১-১৯-২, ধানাঞ্জয়া ১০-০-৩৫-১, পাথিরানা ৭.৪-০-৩২-৪, ওয়েলালাগে ৭-০-৩০-১, শানাকা ৩-০-১৬-১)
শ্রীলঙ্কা: ৩৯ ওভারে ১৬৫/৫ (নিসানকা ১৪, কারুনারত্নে ১, মেন্ডিস ৫, সামারাউইক্রামা ৫৪, আসালাঙ্কা ৬২*, ধানাঞ্জয়া ২, শানাকা ১৪*; তাসকিন ৭-১-৩৪-১, শরিফুল ৪-০-২৩-১, সাকিব ১০-২-২৯-২, মুস্তাফিজ ৩-০-১২-০, মিরাজ ৫-০-২৬-০, মেহেদি ১০-০-৩৫-১)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী
শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের এশিয়া কাপ। ফলে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচটি রূপ নিল বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। পাকিস্তানের লাহোরে আগামী রোববার ওই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
ওই ম্যাচে জিততে পারলে বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের সুপার ফোরে খেলার আশা। অন্যথায় সবার আগে বাজবে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ঘণ্টা।
গত বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে এই দুই দলের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে সুপার ফোরে যায় শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান। এবারও সাকিব আল হাসানের দলকে চোখরাঙানি দিচ্ছে একই শঙ্কা।