সেমি-ফাইনালের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও দুই পেসারের জুটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
Published : 18 Nov 2023, 03:54 PM
৬-১-১২-২, ৭-১-১৮-২; দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে জশ হেইজেলউড ও মিচেল স্টার্কের প্রথম স্পেলের বোলিং বিশ্লেষণ। নতুন বলে দুই পেসারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ফাইনাল ম্যাচেও এই জুটির কাছে এমন কিছুই দেখতে চান কামিন্স।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রোববার শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে লড়বে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে খেলা। ঘরের মাঠে নিজেদের তৃতীয় শিরোপার খোঁজে নামবে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ভারত। আর তাদের থামিয়ে আরও একবার উল্লাসে মাতার অভিযানে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করা পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা টানা আট ম্যাচ জিতে পেয়েছে ফাইনালের টিকেট। সবশেষ ম্যাচে স্টার্ক, হেইজেলউডের আগুনে পুড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে দুই প্রান্ত থেকে নতুন বল হাতে আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনীই করেছেন দুই পেসার।
প্রথম ওভারেই টেম্বা বাভুমাকে কট বিহাইন্ড করেন স্টার্ক। এরপর কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডাসেনের সামর্থ্যের চূড়ান্ত পরীক্ষাই যেন নেন তিনি ও হেইজেলউড। টানা একই জায়গা থেকে দুই দিকেই সুইং করিয়ে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তোলেন দুজনে। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতে আলগা শটে উইকেট দেন ডি কক।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে মোটে ১৮ রান করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুজন মিলে টানা দশ ওভার করার পরও থামেননি স্টার্ক ও হেইজেলউড। ফিল্ডিংয়ের বাধ্যকতা সরে যাওয়ার পর তারা করেন আরও তিন ওভার। সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি ফন ডার ডাসেন ও এইডেন মারক্রামরা। দুজনই ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ে জুটি বেধে নতুন বলের ওই ১৩ ওভারের স্পেলেই মূলত সুরটা বেধে দেন স্টার্ক, হেইজেলউড। টানা ৭ ওভার নিখুঁত বোলিং করে নিজের কার্যকরিতার পাশাপাশি ফিটনেসের প্রমাণও যেন দেন ৩৪ ছুঁইছুঁই স্টার্ক।
ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আরও একবার স্টার্কের কাছ থেকে এমন বোলিংয়ের প্রত্যাশা জানিয়ে রাখলেন কামিন্স।
“আমি একদমই অবাক হব না। কলকাতায় কয়েক রাত আগে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) সে (স্টার্ক) যেভাবে বোলিং করেছে, দুর্দান্ত। টানা ৭ ওভার বোলিং করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছে। অনায়াসেই আরও দুটি পেতে পারত।”
ফাইনালের দুই দলের প্রথম পর্বে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম ভারত। সেদিন স্রেফ ১৯৯ রানের পুঁজি নিয়েও শুরুতে স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। নতুন বলে দুই ওভারের মধ্যে স্রেফ ২ রানে ৩ উইকেট নেন স্টার্ক, হেইজেলউড। আরও বিপদে পড়তে পারত ভারত। কিন্তু ভিরাট কোহলির ক্যাচ ছেড়ে দেন মিচেল মার্শ।
অনেকটা পথ পেরিয়ে এবার শেষ বাধায় আবারও নতুন বলের দুই পেসারের ওপর নির্ভরতার কথা জানালেন কামিন্স।
“জশ হেইজেলউডের সঙ্গে (বোলিংয়ে) তার উদ্বোধনী জুটিটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কোনো ম্যাচে তাদের প্রভাব কতটা হতে পারে, সেটি আমরা ওই রাতের বোলিংয়ে দেখতে পেয়েছি। তারা বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। আইসিসি টুর্নামেন্টে কয়েকটি ফাইনাল খেলেছে। এর গুরুত্ব আপনি জানেন।”