চট্টগ্রামে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট দেখছেন দুই কোচ

ঘাস কম থাকা উইকেটে বোলারদের কাজটা কঠিন হবে মনে করেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে ও হাইনরিখ মালান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2023, 01:25 PM
Updated : 26 March 2023, 01:25 PM

বাংলাদেশ দলের অনুশীলন তখন প্রায় শেষের পথে। রোদের উত্তাপ বাড়তেই সরানো হলো পিচের কভার। শুরুতে খানিক ধন্ধেই পড়তে হলো। কারণ কভার হিসেবে ব্যবহৃত চট ও পিচ আলাদা করার উপায় ছিল না তেমন। শুষ্ক ও ধূসর উইকেটে ঘাসের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এমন উইকেট যে ব্যাটিং স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই দলের কোচের ভাবনাও তেমনই। 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন সকালে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। তারা চলে যাওয়ার পর দুপুরে আসে আয়ারল্যান্ড। অনুশীলন শুরুর আগেই উইকেট পরখ করে নেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। আইরিশ কোচ হাইনরিখ মালানও দেখে নেন প্রথম ম্যাচে কেমন উইকেটে খেলা হবে। 

সিলেটে ওয়ানডে সিরিজে ঘাসের উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দারুণ বোলিং করেন বাংলাদেশের পেসাররা। খারাপ করেননি আইরিশরাও। তবে চট্টগ্রামে তাদের জন্য যে ভিন্ন কিছু অপেক্ষা করতে তা স্পষ্ট প্রথম ম্যাচের আগের দিন দুই দলের প্রধান কোচের সংবাদ সম্মেলনে। 

ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টির উইকেট তেমন গতিময় হবে না মনে করেন বাংলাদেশ কোচ। 

“দেখে মনে হচ্ছে, ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। কারণ উইকেটে আমাদের পছন্দমতো যথেষ্ট ঘাস নেই। আমার মনে হয়, এখানে কিছু করার নেই। আমার মতে, মাঝের পিচগুলোয় ঘাস নেই কারণ এখানে অনেক ক্রিকেট খেলা হয়। আশা করি, ট্রু উইকেট হবে। তবে আমার মনে হয় না, এই মুহূর্তে খুব বেশি গতিময় পিচ এটি।” 

আয়ারল্যান্ডের কোচ অবশ্য ব্যাটিং বান্ধব উইকেট দেখেই খুশি। দর্শকদের মনের খোরাক মেটাতে টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট থাকাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন মালান। 

“টি-টোয়েন্টির উইকেটের কথা চিন্তা করলে, রানের কথাই ভাবেন, তাই নয় কি? মানুষ এটিই দেখতে চায়। এই উইকেট দেখে সিলেটের চেয়ে বেশি ব্যাটিং বান্ধব মনে হচ্ছে। এটি বেশ শক্ত মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, বোলারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে এই উইকেট।” 

“আমরা কীভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চাই, সেই ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা জবাব দিতে চাই, আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চাই। এটি আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর। শুধু বললেই হবে না। করতেও হবে। তো দারুণ ক্রিকেট খেলতে থাকা একটি দলের বিপক্ষে ভালো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।”

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম বরাবরই রান প্রসবা। এই মাঠে এখন পর্যন্ত হওয়া ২১ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে ১১টিতেই আগে ব্যাট করা দল দেড়শ ছাড়ানো স্কোর দাঁড় করেছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠের সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।