অ্যাশেজে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে আত্মবিশ্বাসী স্টোকস

বল হাতে দলে অবদান রাখার জন্য সেরা অবস্থায় আছেন বলে মনে করছেন ইংলিশ অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 03:51 PM
Updated : 31 May 2023, 03:51 PM

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বেন স্টোকসের বোলিং করা নিয়ে দুর্ভাবনা অনেকটাই কেটে গেছে। ফিটনেসের ক্ষেত্রে এখন সেরা অবস্থায় আছেন বলে মনে হচ্ছে ইংলিশ অধিনায়কের। তাই অ‍্যাশেজে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি। 

বাম হাঁটুর চোটের কারণে স্টোকস বোলিং নিয়ে ভুগছেন অনেক দিন ধরে। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে চতুর্থ পেসার হিসেবে দলে অবদান রাখতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। দুই ম্যাচের ওই সিরিজে তিনি বোলিং করতে পারেন মাত্র ৭ ওভার।

ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টের পর আইপিএলে খেলার জন্য তিনি ভারতে যান। অলরাউন্ডার হিসেবে পেতেই ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু দলটির সেই আশা পূরণ হয়নি। চেন্নাইয়ের হয়ে কেবল দুই ম্যাচ খেলতে পারেন তিনি। রান করেন ৭ ও ৮। দুই ম্যাচে এক ওভার বোলিং করে রান দেন ১৮। এরপর পায়ের আঙুলের চোটে পড়েন। 

পরে সেই চোট কাটিয়ে ওঠার পর আরেক দফা চোট পান স্টোকস। সেটি কাটিয়ে উঠলেও আর সুযোগ মেলেনি তার। চেন্নাই কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বোলিং করার মতো অবস্থায় নেই বলেই স্টোকসকে একাদশে রাখতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির দলই জেতে এবারের আইপিএল। 

ওই সময়ে খেলার সুযোগ না পাওয়া স্টোকস ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন চেন্নাইয়ের চিকিৎসক দলের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শুরুর আগের দিন ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বললেন, বল হাতে দলে অবদান রাখার জন্য এখন সেরা অবস্থায় আছেন বলেই মনে হচ্ছে তার। 

“৯ সপ্তাহ ভারতে ছিলাম। নিজেকে এবং সতীর্থদের, বিশেষ করে বোলারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আমি সেই ভূমিকা পালন (বোলিং) করার জন্য আমার সম্ভাব্য সবকিছুই করব। আমি তা করেছি। ওয়েলিংটনের চেয়ে হাঁটু অবশ্যই অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আইপিএলের জন্য ভারতে থাকার সময়ে আমি যা করেছি তা হলো নিজেকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে আসা যেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে না হয় এবং আফসোস করে বলতে না হয় যে, এই গ্রীষ্মে বল হাতে পুরোপুরি ভূমিকা পালন করার জন্য নিজেকে সেরা সুযোগ দেইনি।” 

“চেন্নাইয়ের চিকিৎসক দলের সঙ্গে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি, তারা ইসিবির চিকিৎসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। নিজেকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে এসেছি যে, মনে হচ্ছে আমার শরীর ও ফিটনেসের ক্ষেত্রে ২০১৯, ২০২০ সালের সেরা অবস্থায় ফিরে এসেছি৷ অবশ্যই নিজেকে সেরা সুযোগ দিয়েছি, যদিও মন ও শরীর আলাদা ব্যাপার। কিন্তু হ্যাঁ, আমি নিজেকে সেরা সুযোগ দিয়েছি।” 

ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে আগামী ১৬ জুন।