এশিয়া কাপের ফাইনালে মাদুশাঙ্কার ১১ বলের ওভার

একের পর এক ওয়াইড দিয়ে দীর্ঘ এক ওভার করলেন শ্রীলঙ্কার নতুন বাঁহাতি পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2022, 05:16 PM
Updated : 11 Sept 2022, 05:16 PM

দিলশান মাদুশাঙ্কার প্রথম ডেলিভারিটি হলো ‘নো’ বল। পাকিস্তান পেল ফ্রি হিট। এরপর সেই ফ্রি হিট চলতেই থাকল। বোলার যে একের পর এক ওয়াইড দিতে থাকলেন! সেই ওভার যেন আর শেষই হয় না। ৬ বলের ওভার শেষ পর্যন্ত গিয়ে থামল ১১ বলে।

এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার দুবাইয়ে দুঃস্বপ্নের এই ওভারটি করেন মাদুশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ১৭০ রানের পুঁজি পাওয়ার পর পাকিস্তানের রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই এভাবে খেই হারান ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার।

‘নো’ বলের পর মাদুশাঙ্কার পরের বলটি ওয়াইড হয় উচ্চতার কারণে। পরেরটি ওয়াইড লেগ স্টাম্পের বাইরে থাকার। এরপরের ডেলিভারি আবার লেগ স্টাম্পের বাইরে, এবার ওয়াইডের সঙ্গে ‘বাই’ থেকে আসে ৪ রান। পরের বল আবার ওয়াইড। কোনো বৈধ ডেলিভারি ছাড়াই তখন স্কোরবোর্ডে রান হয়ে গেছে ৯!

এরপর অবশ্য ৬টি বল টানা বেশ ভালোভাবেই শেষ করেন মাদুশাঙ্কা। রান দেন মোটে ৩। ‘শূন্য’ বলে ৯ রান থেকে শেষ পর্যন্ত প্রথম ওভারে রান আসে ১২।

এবারের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে আছে মাদুশাঙ্কার পারফরম্যান্স। কিন্তু তরুণ এই পেসার একটু গড়বড় করে বসলেন ফাইনালে এসে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আরও অনেক লম্বা ওভারের নজির আছে বেশ কিছু। ‘বল বাই বল’ তথ্য রাখা শুরুর পর থেকে দীর্ঘতম ওভারটি করেছেন মোহাম্মদ সামি। সেটিও ছিল এশিয়া কাপের ম্যাচে!

২০০৪ এশিয়া কাপে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ওভারটি করেছিলেন সামি। শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন পাকিস্তানের এই ফাস্ট বোলার। তার প্রথম ওভার ছিল উইকেট মেডেন। নিজের পরের ওভারে তিনি তাল হারান।

ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন ওভার। পরের বলে বাউন্ডারি মারেন হাবিবুল বাশার। পরের বলে আসে দুটি রান। এরপর ওয়াইড আর নো হতে থাকে একের পর এক! সব মিলিয়ে ৭ টি ওয়াইড ও ৪টি নো বল করেন সামি। সঙ্গে বৈধ ৬ বল মিলিয়ে ১৭ বলে শেষ হয় ওভার! রান আসে ২২টি।

কোনো ওয়াইড ছাড়াই ১৫ বলের একটি ওভার দেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। যেটি করেছিলেন সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন কার্টলি অ্যামব্রোস!

১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে এক ওভারে ৯টি ‘নো’ বল করেছিলেন অ্যামব্রোস। ওভারটি ছিল ১৫ বলের। তবে ওই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান এই বোলিং গ্রেটই।

‘বল বাই বল’ হিসাব রাখার পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ প্রথম ওভারটি করেছেন ড্যারিল টাফি। ২০০৫ সালে ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডের এই পেসার প্রথম ওভারটি শেষ করেন ১৪ বলে।

ম্যাচের প্রথম বলটি করেন তিনি ‘নো’, যেটি বাউন্ডারিতে পাঠান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। পরের তিনটি ডেলিভারিও তিনি করেন ‘নো’, এরপর টানা দুটি ওয়াইড। কোনো বৈধ বল হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়ার রান হয়ে যায় ১০! চারটি করে ‘নো’ ও ওয়াইডসহ টাফির ওই ওভার থেকে আসে ১৬ রান।