টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
এই দুই ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি নেদারল্যান্ডস, যা নিয়ে ভীষণ হতাশ দলটির অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
Published : 17 Jun 2024, 02:47 PM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাতে অবশ্য খুব একটা খারাপ লাগছে না স্কট এডওয়ার্ডসের। ডাচ অধিনায়ক যে আগের দুই ম্যাচের পরাজয় এখনও ভুলতে পারছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও জিততে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি এখনও।
নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে নেদারল্যান্ডস। পরের ম্যাচে ১০৩ রানের পুঁজি নিয়েও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগায় তারা। কিন্তু দলটির সেই স্বপ্ন ভেঙে দেন ডেভিড মিলার। তার চমৎকার ফিফটিতে রান তাড়ায় ১২ রানে ৪ উইকেট হারানো দল জিতে যায় ৪ উইকেটে।
বাংলাদেশকেও বাগে পেয়েছিল ডাচরা। সাকিব-শান্তদের ১৫৯ রান তাড়ায় একটা সময় বেশ ভালো অবস্থায় ছিল তারা। কিন্তু ৩ উইকেটে ১১১ রান থেকে হুট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৩৪ রানে থামতে হয় তাদের। পায় ২৫ রানে হারের তেতো স্বাদ।
ওই দুটি ম্যাচ জিতলে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে জায়গা করে নিত নেদারল্যান্ডস। লঙ্কানদের বিপক্ষে সোমবার ৮৩ রানে হারের পর আগের দুই ম্যাচ নিয়ে হতাশা ঝরল ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসের কণ্ঠে।
“টুর্নামেন্ট জুড়েই আমাদের ভালো কিছু সময় এসেছিল, যেখানে অন্তত তিনটি ম্যাচ জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ওই (বড়) মুহূর্তগুলোতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং বা ফিল্ডিংয়ে আমরা সামান্য খারাপ করেছিলাম। ভালো দলের বিপক্ষে আপনি এটা করতে পারবেন না।”
এদিন এক ঘণ্টা আগে পরে শুরু হয় ‘ডি’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারলে এবং নিজেদের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে নেদারল্যান্ডসের সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতো। কিন্তু নেপালকে হারিয়ে তাদের সেই আশা গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরে নিজেদের ম্যাচটিও জিততে পারেনি ডাচরা।
দলটির ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট বলেন, তাদের বোলিংয়ে ইনিংসের সময় বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে নজর ছিল তাদের।
“তবে আমরা সত্যিই আমাদের প্রক্রিয়াতে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি…আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, তখন অন্য ম্যাচের অবস্থা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা ছিল। ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তাই আমরা শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম এবং এটা (পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ) আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে।”
সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আগামী শুক্রবার। আর বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র।