সবশেষ তিন ম্যাচ মিলিয়ে ঢাকার ক্যাপিটালসের একাদশে পরিবর্তন আনা হলো ১৫টি, একাদশে কে সুযোগ পাচ্ছেন, কে বাদ পড়ছেন, হিসাব রাখাই কঠিন!
Published : 10 Jan 2025, 08:13 PM
ঢাকার বাসিন্দাদের নিত্যদিনের চেনা পরিবহন লোকাল বাস। যে যার মতো করে চড়ে বসেন এই গণ পরিবহনে। নিজের গন্তব্য এলে নেমে যান নিজ তাগিদে। কে কখন ওঠেন, কখন নামেন, আলাদা করে হিসেব রাখার বালাই নেই এসব যানবহনে। এবারের বিপিএলে একই অবস্থা যেন ঢাকা ক্যাপিটালসের। কোন ম্যাচে কে খেলছেন, কার জায়গায় কে আসছেন একাদশে, হিসাব রাখাই দায়।
বিপিএলে সিলেট পর্বে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ মিলিয়ে দলটির একাদশে হয়েছে ১৫টি পরিবর্তন। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচে একাদশে পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে তো হেসেই ওঠেন থিসারা পেরেরা, ‘আমরা সঠিক সমন্বয় খুঁজে পাচ্ছি না। আজকেও একাদশে ৫টি পরিবর্তন…।’
পেরেরার হাসির কারণ বোধগম্যই বটে। আগের দুই ম্যাচ মিলিয়েও যে তারা করেছিল ১০টি পরিবর্তন!
আগের ম্যাচে ঢাকার একাদশে বদল ছিল ৪টি। সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একাদশের অর্ধেকের বেশিই বদলে ৬ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মঙ্গলবারের সেই ম্যাচটিতে পরিবর্তনের হিসাবই রাখতে পারেননি পেরেরা। টসের সময় তিনি জানান, ঢাকা একাদশে ৩ জনকে বদলানো হয়েছে। এমনকি পুরো ম্যাচ খেলে ফেলার পরও তিনি বুঝতে পারেননি পরিবর্তন যে আসলে দ্বিগুণ। তাই তো ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে আরেকবার বলেন ৩ পরিবর্তনের কথা।
আগের ম্যাচ খেলা স্টিভেন এসকিনাজি, শাহাদাত হোসেন, শুভাম রাঞ্জানে, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা, নাজমুল ইসলাম অপু ও আবু জায়েদ চৌধুরি সেদিন বাদ পড়েন। তাদের বদলে আসেন জেসন রয়, মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রহমান, হাবিবুর রহমান সোহান, মুকিদুল ইসলাম ও আমির হামজা হোতাক।
এতগুলো পরিবর্তন করেও সেদিন ফল পক্ষে আনতে পারেনি ঢাকা। মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে তারা ম্যাচ হেরে যায় ৭ উইকেটে।
টানা চার পরাজয়ের পর পঞ্চম ম্যাচে তাদের একাদশে করা হয় ৪ পরিবর্তন। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে টসের সময় ৪ বদলের কথা জানালেও, কার জায়গায় কে এসেছেন সেটি বলতে পারেননি পেরেরা। একে তো বিদেশি অধিনায়ক, তার ওপর এত বেশি পরিবর্তন মনে রাখাও বেশ কঠিন!
সেদিন জায়গা হারান লিটন কুমার দাস, হাবিবুর রহমান সোহান, আলাউদ্দিন বাবু ও আমির হামজা হোতাক। তাদের শূন্যস্থান পূরণে সুযোগ দেওয়া হয় এসকিনাজি, শাহাদাত, নাজমুল ইসলাম ও ফারমানউল্লাহ শাফিকে। তবে ফল এদিনও মেলেনি। সাব্বিরের ৯ ছক্কায় ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পরও ৭ উইকেটে হারে ঢাকা।
দুই ম্যাচে ১০ ক্রিকেটার ঢাকার বাসে ওঠা-নামা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তৃতীয় দিন বদলে গেলেন আরও ৫ ক্রিকেটার। আগের দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকেই হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে, এদিন আর টসের সময়ে পেরেরাকে পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করা হয়নি।
সিলেটের বিপক্ষে একাদশে নেই জেসন রয়, এসকিনাজি, শাহাদাত, মুকিদুল ও নাজমুল। তাদের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন লিটন, আবু জায়েদ ও শুভাম রাঞ্জানে। আসরে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার ও রিয়াজ হাসান।
ঢাকার স্কোয়াডে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনও ম্যাচ খেলতে পারেননি শুধু বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা ও টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান রহমতউল্লাহ আলি। তবে যেভাবে চলছে ঢাকার বাস, অচিরেই হয়তো এতে উঠে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন তারা দুজনও।