ঘরের মাঠে কোনো টেস্টে ভারতের সবার সম্মিলিত রান প্রতিপক্ষের একজনের চেয়েই কম হলো ৭৫ বছর পর।
Published : 02 Feb 2024, 10:26 AM
ইংল্যান্ডের স্পিন আক্রমণের অনভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকে। বিশাখাপাত্নাম টেস্টে তাদের তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনারের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা তিন টেস্টের। তবে একটি জায়গায় ইংলিশদের একজনই ছাড়িয়ে গেছেন ভারতের সবাইকে! জো রুটের একার যা রান, এই টেস্টে ভারতের সবার সম্মিলিত রানও এর চেয়ে কম।
ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী রুট। বিশাখাপাত্নাম টেস্ট শুরু করছেন তিনি ১১ হাজার ৪৪৭ রান নিয়ে। ভারতের সবার রান ১০ হাজার ৩৩৬।
ঘরের মাঠের টেস্টে ভারতের সবার সম্মিলিত রান প্রতিপক্ষের একজনের চেয়েই কম, এমন নজির সবশেষ ছিল ৭৫ বছর আগে!
ভারতের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে সব মিলিয়ে চারটি টেস্টে এমনটি দেখা গেছে আছে। সেই ম্যাচগুলি দেশের মাঠে তাদের প্রথম চারটি টেস্ট। প্রথমটি ১৯৩৩ সালে মুম্বাইয়ে, পরের দুটি ১৯৩৪ সালে কলকাতা ও চেন্নাইয়ে, পরেরটি ১৯৪৮ সালে দিল্লিতে।
এবার সেই স্মৃতি ফিরে এলো বিশাখাপাত্নামে। মূলত তারকা ব্যাটসম্যানদের অনুপস্থিতিই গড়ে দিয়েছে এই ব্যবধান। ব্যক্তিগত কারণে সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট থেকে আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ভিরাট কোহলি, যার রান ৮ হাজার ৮৪৮। চোটের কারণে এই টেস্টে খেলতে পারছেন না ২ হাজার ৮৬৩ রান করা লোকেশ রাহুলও।
৩০ সেঞ্চুরি নিয়ে এই টেস্ট খেলতে নেমেছেন রুট। ভারতের সবার সম্মিলিত সেঞ্চুরি ১৯টি। এর মধ্যে রোহিত শার্মার একার সেঞ্চুরি ১০টি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৫টি।
ভারতের একাদশে ৩ হাজার রান করা ব্যাটসম্যান আছেন এই দুজনই। ৩ হাজার ৮০০ রান নিয়ে টেস্ট শুরু করেছেন রোহিত। অভিষিক্ত শোয়েব বাশিরের প্রথম শিকার হয়ে প্রথম সেশনে আউট হয়ে গেছেন তিনি ১৪ রান করে। অশ্বিন ম্যাচটিতে নেমেছেন ৩ হাজার ২২২ রান নিয়ে। ইংল্যান্ডের একাদশে রুট ছাড়াও ৬ হাজারের বেশি রান আছে বেন স্টোকসের, ৬ হাজারের কাছাকাছি জনি বেয়ারস্টোর।
পেস আক্রমণেও ইংল্যান্ডের আছে টেস্ট ইতিহাসেরই সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। ৪১ বছর বয়সী জিমি অ্যান্ডারসন খেলতে নেমেছেন তার ১৮৪তম টেস্ট। একাদশের একমাত্র পেসার তিনি। ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেট পূরণ করতে প্রয়োজন তার আর কেবল ১০টি উইকেট।
তবে অ্যান্ডারসন যতটা অভিজ্ঞ, ততটাই অনভিজ্ঞ তাদের স্পিন আক্রমণ। ৩৬ টেস্ট খেলা বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ ছিটকে গেছেন চোটের কারণে। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা লেগ স্পিনার রেহান আহমেদই তাদের অভিজ্ঞতম স্পিনার। বাঁহাতি স্পিনার টম হার্টলির অভিষেক হয়েছে আগের টেস্টে, এই ম্যাচেই টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম স্বাদ পেয়েছেন অফ স্পিনার শোয়েব বাশির।
২০০৩ সালে যখন টেস্ট অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের, ১৯ বছর বয়সী রেহান ও ২০ বছর বয়সী বাশিরের তখন জন্মই হয়নি।