এসএ টোয়েন্টিতে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের হ্যাটট্রিক শিরোপার আশা ভেঙে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন রাশিদ খানের এমআই কেপ টাউন।
Published : 09 Feb 2025, 11:23 AM
উদ্বোধনী জুটি দিয়ে শুরু। এরপর ম্যাচজুড়ে ব্যাটে-বলে এমআই কেপ টাউনেরই দাপট। ফাইনালের লড়াইকে এক তরফা বানিয়ে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের হ্যাটট্রিক শিরোপারেআশা গুঁড়িয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন রাশিদ খানের দল।
ফাইনালে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপকে ৭৬ রানে উড়িয়ে এসএ টোয়েন্টির তৃতীয় আসরের শিরোপা জিতে নিল এমআই কেপ টাউন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে তুমুল সাড়া জাগানো এই ফ্র্যাঞ্চাজি টুর্নামেন্টের প্রথম দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন ছিল ইস্টার্ন কেপ। এবার প্রাথমিক পর্বে তৃতীয় হয়ে পরে এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতলেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পারল না এইডেন মার্করামের দল।
আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিপক্ষের ফ্র্যাঞ্চাইজি এই এমআই কেপ টাউন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কর্ণধারের ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ।
কেপ টাউনের শিরোপা জয়ে একটি প্রথম স্বাদ পেয়ে গেলেন রাশিদ খানও। এই আসরেই ডোয়াইন ব্রাভোকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টির সফলতম বোলার হয়ে গেছেন তিনি। আফগান লেগ স্পিন তারকা টুর্নামেন্টটি শেষ পর্যন্ত স্মরণীয় করে রাখলেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বড় শিরোপার স্বাদ পেয়ে। ২০১৭ সালে নিজ দেশের শাগিজা ক্রিকেট লিগ জিতেছিলেন তিনি অধিনায়ক হিসেবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন এবারই প্রথম।
জোহানেসবার্গে ফাইনালে শনিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কেপ টাউন। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই টুর্নামেন্টের সেরা বোলার মার্কোন ইয়ানসেনের বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় মনোভাব বুঝিয়ে দেন রায়ান রিকেলটন। ৫ ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় কেপ টাউনের উদ্বোধনী জুটি।
দুই ওপেনারের কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। চার ছক্কায় ১৫ বলে ৩৩ করে আউট হন রিকেলটন, রাসি ফন ডার ডাসেন করেন দুই ছক্কায় ২৩।
বড় ইনিংস খেলতে পারেননি দলের কেউই। তবে বেশ কজন খেলেন কার্যকর ইনিংস। দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ৩৯ করেন তরুণ ব্যাটসম্যান কনর এস্তেহেইজেন, চার ছক্কায় ১৮ বলে ৩৮ করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। জর্জ লিন্ডার ব্যাট থেকে আসে তিন ছক্কায় ২০ রান।
কেপ টাউন ২০ ওভারে তোলে ১৮১ রান। ইস্টার্ন কেপের ইয়ানসেন, রিচার্ড গ্লিসন ও লিয়াম ডসন নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভারে দুই উইকেট হারায় ইস্টার্ন কেপ। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন টনি ডে জর্জি ও টম অ্যাবেল। ২৫ বলে ৩০ রান করা অ্যাবেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লিন্ডা। ২৬ রান করা ডে জর্জিকে পরের ওভারে ফেরান রাশিদ।
এরপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ইস্টার্ন কেপের ইনিংস। অধিনায়ক মার্করাম, ট্রিস্টান স্টাবস, ইয়ানসেনরা কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। ৪০ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে বিধবস্ত হয় তাদের ইনিংস।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ফাইনাল ট্রেন্ট বোল্ট। অধিনায়ক রাশিদ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট, ২০ রানে ২টি নেন লিন্ডা। তবে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার কাগিসো রাবাদা।
বল হাতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ২০৪ রান করে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট রানার্স আপ দলের ইয়ানসেন।