বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে বারবার ফিরে আসছে ২০০৭ বিশ্বকাপ। সেবার বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ভারতকে। আবার বাংলাদেশের সামনে পড়া ভারত হৃদয় খুঁড়ে অতীত সেই বেদনা জাগাতে চায় না। শেষ আটের ম্যাচটি কিভাবে জেতা যায়, তাই নিয়ে ভাবছে তারা।
Published : 18 Mar 2015, 12:15 PM
আড়াইশ' করেও জিততে পারে বাংলাদেশ: গাভাস্কার
বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক শাস্ত্রী
পেস ত্রয়ী আর সাকিবের প্রশংসা রায়নার
বাংলাদেশকে হেয় করায় শশী থারুরের ওয়েবসাইট হ্যাকড
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা গাভাস্কারের
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) শেষ আটের লড়াইয়ের আগের দিন ভারত দলের সংবাদ সম্মেলনে আসেন সুরেশ রায়না। ভারতের এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য উন্মুখ হয়ে থাকার কথা বলেন।
"আমি মনে করি, আমরা এগুলোর দিকে তাকাচ্ছি না। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের কী করতে হবে, আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি। আমরা লিগ ম্যাচেও তাই করেছি।"
শুধু কোয়ার্টার-ফাইনাল নয়, পরের দুটি ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখার কথা ভাবছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
"আমাদের মাঠে নেমে নিজেদের মেলে ধরতে হবে এবং আমরা ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে ভালো করেছি। তাই এখন আমাদের আর তিনটি ম্যাচ আছে।"
ভারতের এই অলরাউন্ডার মুখে 'ইতিহাস না ফিরিয়ে আনার' কথা বললেও বিষয়টি তারা ভুলতে পারেননি বলেই মনে হয়।
"বাংলাদেশকে আপনি হালকাভাবে নিতে পারেন না। তারা ভারতের বিপক্ষে আগে ভালো করেছে, ২০০৭ সালে আমরা তাদের কাছে হেরেছি। এশিয়া কাপেও (২০১২ সাল) আমরা তাদের কাছে হেরেছি।"
২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পোর্ট অব স্পেনে রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সৌরভ গাঙ্গুলী, বীরেন্দর শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার, দ্রাবিড় আর যুবরাজ সিং সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপকে ৪৯.৩ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট করেছিল হাবিবুল বাশারের দল।
বল হাতে অসাধারণ ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ রফিক ও আব্দুর রাজ্জাক। মাশরাফি নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, আর রফিক ও রাজ্জাক নেন ৩টি করে উইকেট।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে জহির খান, অজিত আগারকার ও হরভজন সিংদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে অসাধারণ খেলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানরা। এই তিনজনের তিনটি অর্ধশতকে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আর গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায় নেয় ভারত।