চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশকে লড়াই করতে দেয়নি আফগানিস্তান। স্বাগতিকদের ২০৫ রানে গুটিয়ে আফগানরা নিয়েছে ১৩৭ রানের লিড।
৮ উইকেটে ১৯৪ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ আর কেবল ২৩ বল খেলে যোগ করতে পেরেছে ১১ রান।
আগের দিন ১৪৬ রানে বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারানোর পর চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় লড়াই করেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। বিশেষ করে লোয়ার অর্ডারে তাইজুলের স্পিন খেলার টেকনিক, টেম্পারামেন্ট ছিল দেখার মতো। মোসাদ্দেকও খেলছিলেন দারুণ নিয়ন্ত্রিত।
সেসব দেখেই দ্বিতীয় দিন শেষে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, তৃতীয় দিনে শেষ দুই জুটির কাছে এক সেশন খেলার দৃঢ়তা চায় দল।
হলো উল্টো। দিনের প্রথম ওভারেই তাইজুল ভুলে গেলেন আগের দিনের নিজেকে। মোহাম্মদ নবির বলে দৃষ্টিকটুভাবে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন আগের দিনের ১৪ রানেই।
ইনিংস তখন শেষের অপেক্ষা। অপেক্ষাটা খুব দীর্ঘায়িত হয়নি। এগারো নম্বরে নামা নাঈম হাসানের ব্যাটিংয়ের হাত এমনিতে খারাপ নয়। সেই কারণেই হয়তো তার ওপর ভরসা রেখে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন মোসাদ্দেক।
কিন্তু নাঈম শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। দ্রুতই ফিরে গেলেন রশিদ খানের গুগলি না পড়তে পেরে।
দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটির আশায় থাকা মোসাদ্দেক অপরাজিত থেকে যান ৪৮ রানে।
শেষ উইকেট নিয়ে রশিদ পূরণ করেন টেস্টে টানা দ্বিতীয় ৫ উইকেট। ব্যাট হাতে ফিফটির পর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫৫ রানে ৫ উইকেট, টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেন সময়ের অন্যতম আলোচিত এই ক্রিকেটার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৪২
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭০.৫ ওভারে ২০৫ (আগের দিন ১৯৪/৮)(সাদমান ০, সৌম্য ১৭, লিটন ৩৩, মুমিনুল ৫২, সাকিব ১১, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৭, মোসাদ্দেক ৪৮*, মিরাজ ১১, তাইজুল ১৪, নাঈম ৭; ইয়ামিন ১০-২-২১-১, নবি ২৪-৬-৫৬-৩, জহির ৯-১-৪৬-০, রশিদ ১৯.৫-৩-৫৫-৫, কাইস ৮-২-২২-১)।