৪৯ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজ। এদিনও অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে বেশ। শেষ পর্যন্ত বাধার দেয়াল হয়ে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে ৩৬তম ওভারে বোল্ড করে স্পর্শ করলেন পঞ্চাশ।
এই উইকেটেরও আগেও এক দফা হয়েছে নাটক। ওই ওভারে প্রথমে এলবিডব্লিউ করেছিলেন থারাঙ্গাকে। কিন্ত রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান থারাঙ্গা। পরের বলেই বোল্ড করে আনন্দে ভাসেন বাঁহাতি পেসার।
২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট হলো মুস্তাফিজের। ৩২ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশর আগের রেকর্ডটি ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। পেসারদের মধ্যে দ্রুততম ছিলেন আরেক বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেল। ৩৯ ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন ৫০ উইকেট।
ওয়ানডে ক্রিকেটে মুস্তাফিজের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট, পরের ম্যাচে নিলেন ৬টি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নিতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার। নবম ম্যাচে আবার পান ৫ উইকেট।
মাঝে চোট ছোবল দিয়েছে। এরপরও ধারাবাহিকতা ছিল। ৪২ উইকেট হয়ে গিয়েছিল ১৮ ম্যাচেই। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মত। চার ম্যাচে উইকেট নিতে পেরেছিলেন মোটে একটি, ছিলেন খরুচে। পরের ৮ উইকেট নিতে তাই লেগে গেল ৯ ম্যাচ।
এই ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু থেকেই অবশ্য দারুণ বোলিং করছেন। উইকেট খুব বেশি না পেলেও তার বলেই সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা।
১৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে দ্রুততম পঞ্চাশের বিশ্বরেকর্ড শ্রীলঙ্কার অজান্তা মেন্ডিসের।