রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপ লিটনের

বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের সবাই বুঝেছিলেন মুমিনুল হক আউট নন। কিন্তু ২২ গজে যারা আছেন তারা বুঝতে পারেননি। ব্যাটসম্যান কিংবা অন্য প্রান্তে থাকা ইমরুল কায়েস কেউ ঝুঁকিটা নেননি। লিটন দাসের আফসোস যদি তারা রিভিউ নিতেন!

ক্রীড়া প্রতিবেদক পচেফস্ট্রুম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2017, 06:48 PM
Updated : 1 Oct 2017, 06:51 PM

তাহলে শূন্য রানে ফিরতে হত না মুমিনুলকে। প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টিকে যেতেন। ম্যাচ বাঁচানো আশা হয়তো আরেকটু বাড়ত বাংলাদেশের।

সেনওয়েস পার্কে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৯ রান। লিটন দাস মনে করেন, সে সময়ে মুমিনুল না ফিরলে হয়তো দল আরও ভালো অবস্থায় থাকত।

“আফসোস তো একটু আছেই। পরে দেখে মনে হয়েছে রিভিউ নিলে ভালো হতো আমাদের জন্য। (লেগ স্টাম্প) মিসিং ছিল। উইকেটটা ছিলই না।”

জয়ের জন্য বাংলাদেশের শেষ দিনে চাই ৩৭৫ রান। ম্যাচ বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হবে সারা দিন। লিটনের কাছে দ্বিতীয়টা বাস্তবসম্মত লক্ষ্য।

“পঞ্চম দিনে তিনশ-সাড়ে তিনশ রান তাড়া করে জেতা যায় না। আমাদের তিন উইকেটও চলে গেছে। চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে।…এখনো ব্যাকফুটে যাইনি। কালকে যদি ভালো দুই একটা জুটি হয় হয়তো কিছু হতে পারে।”

ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরতে হয়েছে তামিম ইকবাল, মমিনুল হককে। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। টপ অর্ডারের তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখেন না লিটন।

“ওরা ইনিংস ঘোষণার সময় আকাশে একটু মেঘ ছিল। এ ধরনের কন্ডিশন বল শুরুতে একটু মুভমেন্ট করে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক খেলা। উইকেট পড়তেই পারে। সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না।”

ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে তাদের নজর পচেফস্ট্রুম টেস্ট ড্রয়ের দিকে।