বৃষ্টিতেই সমাপ্তি
আগের দিনের মতোই বৃষ্টিতে আগে ভাগে শেষ হলো চতুর্থ দিনের খেলা। আগের দিন খেলা শেষ হয়েছিল ঘণ্টাখানেক আগে, এদিন পুরো একটি সেশন বৃষ্টির পেটে। চা-বিরতির সময় নামা বৃষ্টিতেই খেলার ইতি। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে এল দিনের খেলা শেষের ঘোষণা।
বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে সেই ঘোষণা নিশ্চয়ই স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল দল। এখন শুধু শেষ দিন টিকে থাকার লড়াই। সেটি আরও সহজ হয়েছে মর্নে মর্কেলর চোটে। সাইড স্ট্রেইনের কারণে শেষ দিনে বোলিং করতে পারবেন না এদিন প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেওয়া এই পেসার।
বাংলাদেশ দিন শেষ করল ৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে। লক্ষ্য ৪২৪।
শেষ দিনে খেলা শুরু হবে স্থানীয় সময় ১০টাতেই। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করা হবে ৯৮ ওভার খেলার।
আবার বৃষ্টির বাধা
চা-বিরতির সময় আবার নেমেছে বৃষ্টি। ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট ও মাঠের কিছু অংশ। আকাশে ঘন কালো মেঘ। চার পাশ প্রায় অন্ধকার। চা বিরতির পর তাই খেলা শুরু হচ্ছে না সময়মত। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের জন্য ভীষণ স্বস্তির বৃষ্টি!
জীবন পেয়ে সেটিকে কাজে লাগাতে পারলেন না ইমরুল। আউট হলেন কেশভ মহারাজের বাঁহাতি স্পিনে।
৬ রানে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ইমরুল। শুরুর নড়বড়ে ভাবটা ক্রমে কাটিয়ে উঠছিলেন। মুশফিকের সঙ্গে গড়ে তুলছিলেন জুটি। কিন্তু চা-বিরতির আগে মহারাজের বলে কট বিহাইন্ড হলেন ৩২ রানে।
৪২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ দিন চা বিরতির সময় বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪৯। ১৬ রানে খেলছেন মুশফিকুর রহিম।
জীবন পেলেন ইমরুলও
নো বলে মুশফিক বোল্ড হয়ে বেঁচে যাওয়ার পর জীবন পেলেন ইমরুল কায়েস। কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্লিপে। সহজ ক্যাচটি হাতে জমাতে পারেননি ফাফ দু প্লেসি।
৬ রানে জীবন পেলেন ইমরুল। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৭।
তামিম-মুমিনুলের পর মুশফিককেও আউট করেচিলেন মর্কেল। কিন্তু তাকে আবার তাড়া করল পুরোনো ভূত। নো-বল!
বোল্ড হয়ে হাঁটা দিয়েছিলেন মুশফিক। তাকে থামালেন আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, দাগের পেছনে ছিল না মর্কেলের পায়ের কোনো অংশ।
এই নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৪ বার মর্কেল উইকেট নিলেন নো বলে!
২ রানে বেঁচে গেলেন মুশফিক। দলের রান ২ উইকেটে ৭।
তামিমের পর মুমিনুল
তামিমের আউটের রেশ থাকতে থাকতেই আরও একটি উইকেট। প্রথম বলেই আবেদন হয়েছিল মুমিনুলের বিপক্ষে। সেটিতে টিকে গেলেও বাঁচতে পারলেন না পরের বলে। এলবিডব্লিউ।
যদিও টিভি রিপ্লে দেখাল, বল চলে যাচ্ছিলো লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। মুমিনুল কেন রিভিউ নিলেন না বা অপর প্রান্ত থেকে বললেন না ইমরুল কায়েস, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
৪২৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই নেই দুই উইকেট। রানের খাতায় যোগ হয়নি কিছুই।
শুরুতে তামিম-ধাক্কা
বাঁহাতিদের বিপক্ষে বরাবরই দারুণ সফল মর্নে মর্কেল। সেই সাফল্যে যোগ হলো আরও একটি নাম। প্রথম ওভারেই ওড়ালেন তামিম ইকবালের বেলস।
রাউন্ড দা উইকেটে বল করেছিলেন স্টাম্পের অনেক দূর থেকে। অ্যাঙ্গেলটি ঠিকমত পড়তে পারলেন না তামিম। তার ডিফেন্স বলের লাইন মিস করল পুরোপুরি।
শূন্য রানেরই আউট তামিম ইকবাল। ৪২৪ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ১ উইকেটে শূন্য।
অবশেষে ইনিংস ঘোষণা
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কেশভ মহারাজের ছক্কা। ফাফ দু প্লেসির মনে হলো, এবার যথেষ্ট। ডেকে নিলেন দুই ব্যাটসম্যানকে। ইনিংস ঘোষণা।
৬ উইকেটে ২৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ৪২৪।
চতুর্থ দিনের খেলা বাকি ৫৩ ওভার। ইনিংসের বিরতিতে কাটা যাবে ২ ওভার। বাংলাদেশকে তাই এদিন খেলতে হবে ৫১ ওভার, শেষ দিনে ৯০। শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের অপেক্ষায় তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৫৬ ওভারে ২৪৭/৬ ডি. (মারক্রাম ১৫, এলগার ১৮, আমলা ২৮, বাভুমা ৭১, দু প্লেসি ৮১, ডি কক ৮, ফেলুকওয়ায়ো ৬*, মহারাজ ১৯*; মিরাজ ০/৬৯, শফিউল ১/৪৬, মুস্তাফিজ ২/৩০, তাসকিন ০/২৯, সাব্বির ০/২৫, মাহমুদউল্লাহ ০/২১, মুমিনুল ৩/২৭)
মুমিনুলের তিন উইকেট
মুমিনুল-লিটন জুটির সৌজন্যে আরও একটি উইকেট! সেটিও বিপজ্জনক কুইন্টন ডি ককের উইকেট।
এই উইকেটেও বড় কৃতিত্ব লিটনের। লেগ স্টাম্প থেকে আরও বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি এগিয়ে আসা ডি কক। বলটি দারুণ দক্ষতায় হাতে জমান লিটন, ক্ষিপ্রতায় উড়িয় দেন বেলস।
৮ রানে স্টাম্পড ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ২২২। লিড ৩৯৮ রানের।
লিটনের অসাধারণ ক্যাচ
উইকেটটি লেখা থাকবে মুমিনুল হকের নামে। তবে চাইলে নিজের ভাগ দাবি করতে পারেন লিটন দাস। তার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বতে আউট টেম্বা বাভুমা।
মুমিনুলের স্টাম্পে থাকা বলকে প্যাডল সুইপ করেছিলেন বাভুমা। বুঝতে পেরে আগে থেকেই লেগ স্টাম্পের দিকে সরতে থাকেন লিটন। তারপরও বল হাতে জমানো ছিল কঠিন। লিটন সেই দু:সাধ্য কাজটিই করেছেন। এক হাতে জমালেন বল। ধরার পর ভূপাতিত হলেও ছাড়েননি বল।
৭১ রানে ফিরলেন বাভুমা। নিজের পরপর দুই ওভারে ফাফ দু প্লেসি ও বাভুমাকে ফেরালেন মুমিনুল।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ২১৭। লিড ৩৯৩ রানে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু
বৃষ্টি বড় কিছুর শঙ্কা জাগালেও শেষ পর্যন্ত খুব বেশি দীর্ঘ হলো না অপেক্ষা। ৫০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু খেলা।
থেমেছে বৃষ্টি
ঝড় পেরিয়ে গেছে। থেমে গেছে বৃষ্টিও। আকাশে যদিও কালো মেঘের আনাগোনা কিছু আছে, তার ফাঁক গলে দেখা মিলেছে রোদের। মাঠ শুকানোর কাজ শুরু করেছেন মাঠকর্মীরা।
বৃষ্টির বাধা
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টি ছিল বিকেলে। তবে হানা দিল দুপুরেই। আকাশ মেঘলা ছিল সকাল থেকেই। বৃষ্টি নামল স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে। বন্ধ খেলা।
শুরুতে গুঁড়ি গুঁড়ি থাকলেও ক্রমে বেড়েছে বৃষ্টির জোর। আকাশে চমকাচ্ছে বিদ্যুৎ, শোনা গেল বজ্রপাতের শব্দও।
৪৯.২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২১২। লিড ৩৮৮ রানের।
মুমিনুলের শিকার দু প্লেসি
সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফাফ দু প্লেসি। সেটি হতে দিলেন না মুমিনুল হক। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে ফেরালেন ৮১ রানে। ভাঙল ১৪২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
স্টাম্পে থাকা বল সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন দু প্লেসি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু বাঁচতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২১২। লিড ৩৮৮ রানের।
এটি মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইকেট। প্রথমটি পেয়েছিলেন সেই ২০১৩ সালে, চট্টগ্রামে আউট করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বিজে ওয়াটলিংকে।
রান প্রসবা সেশন
দ্রুত রান তুলে লিড যতটা সম্ভব বাড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনে সেই লক্ষ্য পূরণ প্রায় শতভাগ। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে প্রোটিয়ারা ২৯.১ ওভারে তুলেছে ১৪৯ রান। ওভার প্রতি পাঁচ রানের বেশি!
লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ২০৩। লিড ৩৭৯ রানের। ৭৭ রান নিয়ে উইকেটে দু প্লেসি, ৬৪ রানে বাভুমা। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ জুটির রান ১৩৩।
বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল ভালোই। সকালে মুস্তাফিজ ও শফিউল ভালো বল করেছেন। মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন আমলাকে। তবে সেই শুরু আর ধরে রাখা যায়নি। বাভুমা-দু প্লেসি জুটি রান তুলেছে অনায়াসে। বাংলাদেশের অপেক্ষা এখন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণার।
বাভুমার পঞ্চাশ
প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংস অর্ধশতকের সুযোগ পেলেন টেম্বা বাভুমা। ৭৫ বলে স্পর্শ করলেন নবম টেস্ট ফিফটি।
৪১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৮০। লিড ৩৫৬ রানের।
জুটির সেঞ্চুরি
সকালে যতটুকু নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পেরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা, সেটি কেড়ে নিয়েছে ফাফ দু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমার জুটি। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে রান এসছে ওয়ানডের গতিতে। ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান তুলে এই জুটি পৌঁছে গেছে তিন অঙ্কে।
৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৭৪। লিড স্পর্শ করেছে সাড়ে তিনশ। চতুর্থ জুটির রান ১০৪।
দু প্লেসির পঞ্চাশ
উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই ফাফ দু প্লেসির ব্যাটে দ্রুত রানের তাড়া। সেই চেষ্টায় যথেষ্টই সফল দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ফিফটি করে ফেললেন মাত্র ৫৫ বলে।
তার ১৫তম টেস্ট ফিফটি, সঙ্গে সেঞ্চুরি ৬টি। ৫টি চারের পাশাপাশি মিরাজের বলে মেরেছেন একটি ছক্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৪৭। লিড ৩২৩ রানের।
তিনশ ছাড়াল লিড
আমলা আউট হওয়ার নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন ফাফ দু প্লেসি। রানের গতি একটু বাড়িয়েছেন টেম্বা বাভুমাও। দুজনের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ছাড়িয়ে গেছে তিনশ।
চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটির পঞ্চাশ রানও হয়ে গেছে। ৩২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১২৮।
৩০ রান নিয়ে খেলছেন বাভুমা, ৩৬ রান নিয়ে দু প্লেসি। চতুর্থ উইকেট জুটির রান ৫৮।
বেঁচে গেলেন বাভুমা
আমলার উইকেটের হাত ধরেই আসতে পারত আরেকটি উইকেট। কিন্তু টেম্বা বাভুমার ক্যাচ নিতে পারলেন না ইমরুল কায়েস।
শফিউলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সজোরে শট খেলেছিলেন বাভুমা। পয়েন্টে ইমরুল কায়েস ছিলেন একটু কাছাকাছি। বল গিয়েছে তার সোজা। কিন্তু জোর ছিল প্রচণ্ড। মুখ বাঁচাতে চোখ সরিয়ে নেন ইমরুল, বল তার আঙুলে লেগে মাটিতে।
ক্যাচ মিস, সঙ্গে ইমরুলের আঙুলে চোট। মাঠ ছাড়লেন তিনি চিকিৎসা নিতে। বাভুমা জীবন পেলেন ৮ রানে।
আবার কাটারে সফল মুস্তাফিজ
অফ স্টাম্পের বাইরের বল। ব্যাটসম্যানকে প্রলুব্ধ করা। কিন্তু কাটারে বিভ্রান্ত ব্যাটসম্যান আউট গতি বৈচিত্র্যে! আগের দিন যেভাবে মারক্রামকে শিকার করেছিলেন মুস্তাফিজ, অনেকটা সেভাবেই আউট করলেন হাশিম আমলাকে।
আমলাকে আউট করা বলটি অবশ্য গ্রিপ করেছে আরেকটু বেশি। যথারীতি বেরিয়ে যাওয়ার পথে ছুঁয়েছে আমলার ব্যাটের কানা। বাকি কাজ সেরেছেন উইকেটকিপার লিটন দাস।
২৮ রানে ফিরলেন আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৭০। এগিয়ে তারা ২৪৬ রানে।
ঠিক সময়েই খেলা শুরু
মেঘলা আকাশ আর প্রায় অন্ধকারে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল ১৬.১ ওভার আগে। চতুর্থ দিন সকালেও একই চেহারায় পচেফস্ট্রুমের আকাশ। ঘন কালো মেঘ। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে অনেক। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টি নেই। উইকেটও ঢাকা নয়। বৃষ্টি শুরু না হওয়ায় ঠিক সময়েই শুরু হয় খেলা।
প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের লিড হজম করে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটায় বেশ ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা এদিন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু করবে চতুর্থ দিনের খেলা। ৮ উইকেটে হাতে নিয়ে এগিয়ে তারা ২৩০ রানে।
তৃতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫.৫ ওভারে ৫৪/২ (মারক্রাম ১৫, এলগার ১৮, আমলা ১৭*, বাভুমা ৩*; মিরাজ ০/১৫, শফিউল ১/১৮, মুস্তাফিজ ১/৭, তাসকিন ০/১৪)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩২০
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ ডি.