২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং কোচ ছিলেন রামানায়েকে। খুব কাছে থেকে দেখেছেন মাশরাফি, রুবেল হোসেনকে। সাবেক শিষ্যদের এগিয়ে চলায় মুগ্ধ শ্রীলঙ্কার এই কোচ।
“আমি মাশরাফিকে খুব পছন্দ করি। তাকে অবশ্যই আবার দেখতে চাই। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। একই সঙ্গে ভালো নেতা ও মানুষও। এতোগুলো অস্ত্রোপচারের পরও সে খেলে যাচ্ছে। যদিও সে শুধু ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলছে। আশা করি, আরো কয়েক বছর সে খেলবে।”
“মাশরাফিই আমার দেখা বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ক্রিকেটার। আমি তার সাথে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
১৮ মার্চ ওয়ানডে দলের সদস্যের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় আসার কথা রয়েছে মাশরাফির।
নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টিতে রুবেলের বোলিং দেখে মুগ্ধ রামানায়েকে। তার বিশ্বাস, টেস্টেও খুব ভালো করবে এই পেসার।
“রুবেলের দলে আসার সময়টায় আমি কোচ ছিলাম। ওর বলের গতি আছে, এখনও ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করছে। টেস্টে কম খেলছে তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলছে। তার গতিটা এখনো চোখে পড়ে।”
“এ ছাড়া তাসকিন আছে। তার গতিও দারুণ। ও বাংলাদেশের জন্য একটা সম্পদ হবে। মাশরাফিও আছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পেস বোলাররা ভালো করবে। এ জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।”
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ এখন কোর্টনি ওয়ালশ। তরুণ পেসারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তিকে সঠিক ব্যক্তি মনে করছেন রামানায়েকে।
“উনি তো কিংবদন্তি। তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে দারুণভাবে সাহায্য করবে। আমি সেই উন্নতিটা দেখতেই পাচ্ছি। যদিও আমাদের দলে বেশি অভিজ্ঞ স্পিনার আছে। তারপরও বাংলাদেশ ভালো দল। আশা করি তারা ভালো করবে।”
“বাংলাদেশের পেসাররা আমাকে আনন্দিত করে। তারা ১৪০ কিমির বেশি গতিতে বোলিং করছে। টেস্ট ক্রিকেটে তাদের উন্নতিটা চোখে পড়ছে।”
নিজের এক সময়ের শিষ্যদের শততম টেস্টের রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেল রামানায়েকেকে। প্রতিপক্ষ দলে থাকলেও জানালেন শুভ কামনা।
“বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়েছে। এটা দেখে ভালো লাগে। একশ’ টেস্ট খেলা সোজা কথা নয়। ২০০৮ বা ২০১০ সালের দিকে আমি যেমন দেখেছিলাম, এই দল তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নতি করেছে। খেলোয়াড়রা অনেক ভালো করছে। তাদের ভবিষ্যত অবশ্যই খুব ভালো।”
নিউ জিল্যান্ডে সময়টা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। ভারতেও হারতে হয়েছে একমাত্র টেস্টে। গল টেস্টের ব্যাটিং ব্যর্থতা এখনও চোখে ভাসছে। তবে মুশফিকুর রহিমের দলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই লঙ্কান বোলিং কোচের।
“দেখুন, অভিজ্ঞতা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ঘরের মাঠে তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এখন দেশের বাইরে জিততে হবে। এটা সহজ কোনো ব্যাপার নয়। উপমহাদেশের সব দলই দেশের বাইরে সংগ্রাম করে। তবে বাংলাদেশ ভালো দল।”
“ধৈর্য্য ধরতে হবে। একবার তারা আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলে এবং আমরা জিততে পারি; এমন বিশ্বাস পেলে তারা আরো ভালো করবে। জিততে থাকবে। ওই মনোভাবটা অর্জন করতে হবে। তাহলেই সফলতা মিলবে।”