কেমন হবে শততম টেস্টের উইকেট?

দুপুরে মাঠে এসে সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে সরাসরি উইকেট দেখতে গেলেন চন্দিকা হাথুরুসিংহে। একটু পরে গেলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। যোগ দিলেন মুশফিুকর রহিম। লম্বা আলোচনার শেষে অধিনায়ক জানালেন, এই উইকেটে ভালো করার সুযোগ আছে সবারই।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতকলম্বো থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2017, 03:24 PM
Updated : 14 March 2017, 03:51 PM

তার কিছুক্ষণ আগেই শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকে বলছিলেন উইকেট নিয়ে নিজের ধারণার কথা।

“এমনিতে এখানে শুরুতে পেসাররা সুবিধা পায়। তবে গরমের মধ্যে যে কোনো উইকেট স্পিনারদের সহায়তা করে। গলেও শেষের দিকে স্পিনাররা সহায়তা পেয়েছে। সে হিসেবে এখানেও হয়তো স্পিনাররা সহায়তা পাবে।”

বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচের ধারণার সঙ্গে পুরোপুরিই মিলে গেছে মুশফিকের ভাবনা।

“পি সারা ওভালে এর আগে আমি একটি টেস্ট খেলেছি। এ ছাড়া খেলা দেখেছি। এখানে সাধারণত শুরুর দিকে পেসাররা সহায়তা পায়। মাটিটা অন্য রকম বলে বাউন্স থাকে। উইকেট একটু শুকনো। অর্থাৎ দিন যতো যাবে স্পিনাররা ততো সহায়তা পাবে। আবার ব্যাটসম্যানরাও এখানে খুব ভালো রান পায়। অনেক রেকর্ডও আছে।”

শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের বিশ্বাস, গলের মতোই উইকেট পাবেন তারা।

“আমরা জানি, এখানে প্রথম দুই-তিন দিন পেসারদের জন্য বাউন্স আছে। তবে আমি নিশ্চিত না, এই উইকেট তেমন আচরণ করবে কি না। আমি এখানে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমি জানি, এখানে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে এখানে স্পিন ধরবে।”

গল টেস্টে হারের পর ব্যাটসম্যানদেরকে দুষেছিলেন অধিনায়ক। তার বিশ্বাস, নিজেদের প্রয়োগ করতে পারলে ওই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে না কলম্বোয়।

“আমার মনে হয়, ব্যাটসম্যানরা মন দিয়ে খেলতে পারলে তাদেরও অনেক কিছু করার আছে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় এটা একটা স্পোর্টিং উইকেট। আর যাদের ভূমিকায় বাংলাদেশ দল জিততে পারে এ রকম ১১ জনকে নিয়ে এই ম্যাচের একাদশ গঠন করা হবে।”

পি সারা ওভালই শ্রীলঙ্কার একমাত্র মাঠ যেখানে পা পড়েছে ক্রিকেট কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানের। এই মাঠেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট জয় এসেছে এখানেই। শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক মাঠেই হবে বাংলাদেশের শততম টেস্ট।

সেই মাঠে নিজেদের রেকর্ডের কথা ভালো করেই জানেন মুশফিক। তিন টেস্ট খেলে তিনটিতেই দল হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। এই মাঠে ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে কেবল ওই তিন ম্যাচেই। স্বাভাবিকভাবেই বিব্রত হলেন অধিনায়ক। তবে শোনালেন রেকর্ড পাল্টানোর আশাবাদ।

“রেকর্ড ভালো- মন্দ সবই থাকে। যেখানে শেষ টেস্ট হারলাম সেখানে কিন্তু একটা ম্যাচ ড্র করার স্মৃতি ছিলো। তারপরও এতো বাজেভাবে যে হারবো, এটা কখনো কিন্তু চিন্তা করি নাই। আমাদের আসলে নতুন করে শুরু করতে হয়। এখানে আগে যখন খেলেছিলাম, হেরাথ ছাড়া তাদের কেউ এবার ছিলো না। এখন আমাদের কাছে লঙ্কান বোলিং লাইনটা একটু চেনা হয়েছে। আমরা যদি মৌলিক ব্যাপারগুলো ঠিকঠাকভাবে খেলতে পারি, তাহলে ফলাফল আশা করি আমাদের পক্ষেই থাকবে।”