এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মইন আলি ও জনি বেয়ারস্টো। টেস্ট অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুকও সফরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানসহ যারা দ্বিধায় ভুগছেন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস।
Published : 08 Sep 2016, 01:28 AM
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও দলের পরিচালক স্ট্রাউস খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়েছেন, জায়গা ছেড়ে দিলে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ২৫ অগাস্ট বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করে ইসিবি। এরপর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির কথা জানান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট।
তবে ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিসের প্রত্যাশা, সব খেলোয়াড়কে নিয়েই বাংলাদেশ সফর করার। স্ট্রাউসও চান পূর্ণ শক্তির দল। তবে কাউকে জোর না করার কথা আবারও জানালেন, নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে খেলোয়াড়দেরই।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে দ্বিধায় আছেন টেস্ট দলে জায়গা হারানোর শঙ্কায় থাকা অ্যালেক্স হেলসও। কদিন আগেই ওয়ানডেতে দেশের পক্ষে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
অনিশ্চয়তায় থাকা ক্রিকেটারদের জন্য জায়গা ধরে রাখার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন স্ট্রাউস, “কেউ যদি চোটে পড়ে তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সে দলে (তার) জায়গার দখল হারায়, এটা ঠিক তেমন ব্যাপার। আর সেক্ষেত্রে কেউ যদি সত্যিই ভালো করে ফেলে তাহলে তার (ফেলে যাওয়া) জায়গার কোনো নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারেন না।”
“তবে আমি এখনও আশাবাদী, ওই বিমানে সবাই থাকবে। কারণ, আমি বিশ্বাস করি আমরা যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা পেয়েছি তা ঝুঁকি কমিয়ে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।”
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ইংল্যান্ড দলের। সফরে তিনটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ ও ওয়ানডে খেলবে তারা। প্রায় এক মাসের সফর শেষ হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে।