টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
রোহিত শার্মার নেতৃত্বাধীন দলে আফগানিস্তান থেকে সুযোগ পেয়েছেন ৩ জন, সেমি-ফাইনাল না খেলেও অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আছেন ১ জন করে।
Published : 01 Jul 2024, 09:54 AM
দাপুটে ক্রিকেট খেলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। শিরোপাধারী দলের ৬ জন সুযোগ পেলেন টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে।
আইসিসি রোববার রাতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে চার দেশের ক্রিকেটার নিয়ে সেরা একাদশ ঘোষণা করে। ফাইনালে উঠলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটার নেই এই দলে। সেমি-ফাইনাল খেলা ইংল্যান্ড থেকেও সুযোগ পাননি কেউ।
সবাইকে চমকে দিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠা আফগানিস্তান থেকে ৩ জন ক্রিকেটার আছেন রোহিত শার্মার নেতৃত্বাধীন একাদশে। আর সুপার এইট থেকে বাদ পড়লেও অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ডাক পেয়েছেন ১ জন করে ক্রিকেটার।
ইনিংস উদ্বোধন করবেন টুর্নামেন্টের দুই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রোহিত। আসরে দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ৩টি করে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
প্রথম দুই ম্যাচে ৭৬ ও ৮০ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। পরে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ম্যাচেও তিনি করেন ৬০ রান। সব মিলিয়ে ২৮১ রান করে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পেছনে সবার উপরে।
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে রোহিত করেন ৯২ রান। পরে সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ড ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। সব মিলিয়ে ভারত অধিনায়কের ঝুলিতে ২৫৭ রান।
সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিকোলাস পুরানের ৫৩ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি এবারের আসরের সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ৩৮ গড়ে ২২৮ রান করে তিন নম্বরে জায়গা পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।
চার নম্বরে আছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ফাইনালে দুর্দান্ত ক্যাচ ছাড়াও সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৪৭ ও সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
দল প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য না পেলেও অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে। টুর্নামেন্টে ৫ ইনিংসে ৪২.২৫ গড় ও ১৬৪.০৭ স্ট্রাইক রেটে ১৬৯ রানের সঙ্গে বল হাতে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
একাদশের পরের দুই অলরাউন্ডার চ্যাম্পিয়ন ভারত থেকে। ৪৮ গড়ে ১৪৪ রান করার পাশাপাশি ১১ উইকেট নিয়ে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গা নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ৪৭ রান করা ও সেমি-ফাইনালে ৩ উইকেট নেওয়া আকসার প্যাটেল।
টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ১২.৭৮ গড় ও ওভারপ্রতি ৬.১৭ রান খরচ করে ১৪ উইকেট নেওয়া রাশিদ খান আছেন আট নম্বরে।
জাদুকরী এক বিশ্বকাপ কাটানো জাসপ্রিত বুমরাহ সুযোগ পেয়েছেন অনুমিতভাবেই। পুরো আসরে মাত্র ৮.২৬ গড় ও ওভারপ্রতি ৪.১৭ রান খরচায় বুমরাহর শিকার ১৫ উইকেট। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন তিনি।
একাদশের শেষ দুটি নামও অনেকটা অনুমিত। এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়া দুই বাঁহাতি পেসার আর্শদিপ সিং ও ফাজালহাক ফারুকি। দুজনই ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট।
রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে রাখা হয়েছে আনরিক নরকিয়াকে। ৯ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৬ রানের কম খরচ করে গতিময় পেসারের শিকার ১৫ উইকেট।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: রোহিত শার্মা (অধিনায়ক, ভারত), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক, আফগানিস্তান), নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ (ভারত), মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), আকসার প্যাটেল (ভারত), রাশিদ খান (আফগানিস্তান), জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত), আর্শদিপ সিং (ভারত), ফাজালহাক ফারুকি (আফগানিস্তান)।
দ্বাদশ ব্যক্তি: আনরিক নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা)