লঙ্কান ক্রিকেট
৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ, হৃদয় করতে পেরেছেন কেবল এক রান।
Published : 02 Jul 2024, 12:12 AM
শুরুটা দুর্দান্ত করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলেই ধরলেন শিকার। এরপর ছন্দ হারিয়ে ফেললেন বাঁহাতি এই পেসার। এলোমেলো বোলিংয়ে রান দিলেন অকাতরে। সতীর্থদের বিবর্ণ দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয়ও।
এবারের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজ ও হৃদয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দুইজনই পার করলেন ভুলে যাওয়ার মতো একটি দিন। তাদের দলও পারল না ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের বিপক্ষে। ১৭৯ রানের পুঁজি গড়ে হেরে গেল ১৬ বাকি থাকতেই, ৬ উইকেটে।
মুস্তাফিজ ৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার হজম করেন তিনি। ডট দিতে পারেন কেবল তিনটি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৫৩ রান করা হৃদয় এলপিএলে প্রথম ম্যাচে পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। ২ বলে স্রেফ ১ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
পাল্লেকেলেতে সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ডাম্বুলা। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়া দলের হাল ধরতে পারেননি হৃদয়। দলকে আরও বিপদে ফেলে পঞ্চম ওভারে দাসুন শানাকার বলে হন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় ক্যান্ডি।
২৫ রানে ৪ উইকেট হারানো দলের হয়ে প্রতিরোধ গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান ও চামিন্দু উইক্রামাসিংহে। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৫৪ রানের জুটিতে ১৭৯ রান করে ডাম্বুলা।
৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৬১ বলে ৯১ রান করেন চ্যাপম্যান। ৪২ বলে ৬২ রান করতে উইক্রামাসিংহে মারেন ৩ ছক্কা ও ৪টি চার।
রান তাড়ায় নামা ক্যান্ডি শিবিরে দ্বিতীয় বলেই আঘাত হানেন নুয়ান থুশারা। দলটিকে আরও চেপে ধরতে অবদান রাখেন মুস্তাফিজ। ম্যাচে প্রথমবার বল করতে এসেই দলকে এনে দেন সাফল্য।
তার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলটি ছিল শর্ট। মোহাম্মদ হারিস পুল করার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি। হালকা ওপরে ওঠা বল মুঠোয় জমাতে অসুবিধা হয়নি মুস্তাফিজের। পরের পাঁচ বলে পাঁচটি সিঙ্গেল দেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবার আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ। এবার তার ওপর ঝড় বইয়ে দেন দিনেশ চান্দিমাল। প্রথম বলটি ডট খেলার পরের তিন ডেলিভারিতে এক ছক্কা ও দুটি চার মারেন তিনি। সঙ্গে দুটি সিঙ্গেলে ওভার থেকে আসে ১৬ রান।
৩০ বলে যখন ৪৭ রান চাই ক্যান্ডির, মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ডাম্বুলা অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি। তার ওই ওভারে তাণ্ডব চালান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও শানাকা। ওভারটি থেকে তারা তোলেন ২৩ রান।
ওভারের প্রথম ডেলিভারি লেগ সাইডে শর্ট বল করেন মুস্তাফিজ। উড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে বেগ পেতে হয়নি ম্যাথিউসের। পরের বলে তিনি নেন সিঙ্গেল। স্ট্রাইক পেয়েই চার মারেন শানাকা। ওভারে শেষ দুটি বলে ওড়ান দুই ছক্কা। দুটি বলই স্লোয়ার করেন মুস্তাফিজ।
১৭ তম ওভারে থুশারা দেন ২১ রান। পরের ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কাকে ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন শানাকা। ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ১৫ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাথিউস করেন ২০ বলে ৩৭। ওপেন করতে নামা চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৪০ বলে ৬৫।