টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি ও ম্যাচ জেতানো অসাধারণ ১৮০ রানের ইনিংসের পর পাকিস্তানি ওপেনার বললেন, ঘাটতিগুলো নিয়ে কাজ করেই সফল তিনি।
Published : 30 Apr 2023, 11:43 AM
টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি। সবশেষ ২০ ইনিংসে ছয় সেঞ্চুরি। দেশের হয়ে দ্রুততম তিন হাজার রানের কীর্তি। রেকর্ড রান তাড়ায় ১৮০ রানের অসাধারণ ইনিংস। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় ছুটে চলেছেন ফখর জামান। একের পর এক ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল পাকিস্তানি ওপেনার বললেন, নিজের ঘাটতিগুলো নিয়ে ক্রমাগত কাজ করার সুফল পাচ্ছেন তিনি।
ফখরের অসাধারণ ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ এক জয় পায় পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে শনিবার কিউইদের ৩৩৬ রান টপকে পাকিস্তান জিতে যায় ৭ উইকেটে।
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এটি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনশ তাড়ায় জয় এই প্রথম।
১৪৪ বলে ১৮০ রানের অপরাজিত ইনিংসে এই জয়ের মূল কারিগর ফখর। দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া, মাঝপথে টেনে নেওয়া এবং শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া, এ দিন সবকিছুই করেন ফখর।
ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সব ইনিংস তার আগেও আছে। এই সংস্করণে পাকিস্তানের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটি তার। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২১০ রানের ইনিংস। ২০২১ সালে আবার ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি যান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে সেদিন ১৯৩ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। রান তাড়ায় যা সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড। এবার রান তাড়ায়ই এই ১৮০ রানের ইনিংস।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪ ইনিংসেই ৩টিই এসেছে ফখরের ব্যাট থেকে।
এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তার ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ২৮৯ রান তাড়ায় জিতে যায় পাকিস্তান। এই সিরিজের আগে নিজের সবশেষ ওয়ানডেতেও তিনি সেঞ্চুরি করেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই।
পাকিস্তানের হয়ে টানা তিন ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরি আছে ফখরের আগে বাবর আজম (২ দফায়), সাঈদ আনোয়ার ও জহির আব্বাসের।
তবে একটি জায়গায় ফখর ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের ইনিংসের সবাইকে। ১৮০ রানের এই ইনিংসের পথে ৩ হাজার রান স্পর্শ করেন তিনি স্রেফ ৬৭ ইনিংসে। পাকিস্তানের হয়ে এত কম ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি আর কেউ। পেছনে ফেলেছেন তিনি এখনকার অধিনায়ক বাবর আজমকে। বাবরের লেগেছিল ৬৮ ইনিংস। বিশ্বরেকর্ডে ফখরের ওপরে আছেন কেবল হাশিম আমলা (৫৭ ইনিংস)।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুতে ১৭ ম্যাচেই ৪টি সেঞ্চুরি ছিল ফখরের। পরে প্রত্যাশিত গতিতে এগোয়নি ক্যারিয়ার। দল থেকে বাদ পড়েছেন। চোটের থাবাও এসেছে। তবে ২০২১ সালে দলে ফেরার পর ৬ সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি ২০ ইনিংসের মধ্যেই।
ম্যাচ শেষ ৩৩ বছর বয়সী ওপেনার বললেন, অনুশীলনে সুনির্দিষ্ট কাজ করার ফসল পাচ্ছেন তিনি।
“অনুশীলনে সাধারণত টেকনিক নিয়ে কাজ করি। নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলো নিয়েও কাজ করি।”
“ওয়ানডেতে আমি সাধারণত শুরুতে একটু সময় নেই। এরপর যখন বৃত্তের ভেতরে ৫ ফিল্ডার চলে আসে (পাওয়ার প্লে শেষে) তখন কাজটা সহজ হয়ে ওঠে। দল থেকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে। আমি এটাই চেষ্টা করছি এবং দলের তাতে কাজে লাগছে।”