বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন দুর্বার রাজশাহীর ইয়াসির আলি।
Published : 30 Dec 2024, 03:50 PM
শেষ ওভারে ডেলিভারি বাকি তখন দুটি। ইয়াসির আলির সেঞ্চুরি হতেও প্রয়োজন দুটি শটের। কিন্তু পঞ্চম বলে এক রানের বেশি নিতে পারলেন না তিনি। শতরানেও তাই পৌঁছানো হলো না। খামতি স্রেফ ওইটুকুই। নইলে যে ইনিংসটি তিনি খেললেন, বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমন ইনিংস খুব বেশি দেখা যায় না।
বিপিএলের নতুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নতুন দল দুর্বার রাজশাহীর হয়ে স্মরণীয় এক ইনিংস উপহার দিলেন ইয়াসির। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে তিনি অপরাজিত ৯৪ রানে। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ও এবারও ফেভারিট ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তার এই ইনিংসে চার সাতটি ছক্কা আটটি।
গত বিপিএলে ৫ ম্যাচ খেলে চারটিতে ব্যাটিং করে মোট ৫৪ রান করেছিলেন ইয়াসির। এবার এক ম্যাচেই গত আসরকে ছাপিয়ে গেলেন তো বটেই, ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেও। বিপিএলে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৮।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহী চার ওভারের মধ্যে হারায় দুই ওপেনারকে। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন এনামুল হক ও ইয়াসির আলি।
আগে পঞ্চাশে পা রাখেন এনামুল। চারটি ছক্কা মারলেও ৪২ বলে ফিফটি করেন রাজশাহী অধিনায়ক। ইয়াসিরের রান এক পর্যায়ে ছিল ২২ বলে ২২। পরে নিয়মিত চার-ছক্কায় রান বাড়াতে থাকেন তিনি ঝড়ের গতিতে। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে ছক্কায় উড়িয়ে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ৩৫ বলে। পরের বলেই ছক্কা মারেন আরেকটি।
শেষ ওভারটি শুরু করেন তিনি ৭৭ রান নিয়ে। রিপন মণ্ডলের করা ওভারের প্রথম বলে রান নিতে না পারলেও ছক্কা মারেন পরের দুই ডেলিভারিতেই। এরপর একটি বাউন্ডারিতে পেরিয়ে যান নব্বই। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও তখন জেগে ওঠে।
শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে বড় স্কোরে পৌঁছে দেন ইয়াসির। বিপিএল অভিষেকে দুর্বার রাজশাহী ২০ ওভারে তোলে ১৯৭ রান।