পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজ
স্পিন সহায়ক উইকেট বানাতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্ট পর্যন্ত সময় নেওয়াটাই বরং অবাক করেছে ইংল্যান্ডের কোচকে।
Published : 26 Oct 2024, 10:24 PM
প্রথম টেস্টে দাপুটে ব্যাটিংয়ে ইনিংস ব্যবধানে জেতা দল পরের দুই ম্যাচে স্রেফ উড়ে গেছে। মুলতানের পর রাওয়ালপিন্ডিতেও পাকিস্তানের স্পিন বিষে নীল হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। এগিয়ে গিয়েও সিরিজ হারের পর কোনো অজুহাত খুঁজছেন না ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
প্রতিপক্ষ অনেক ভালো খেলেই জিতেছে, অকপটে বললেন ইংল্যান্ড কোচ। স্পিন সহায়ক উইকেট বানাতে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় টেস্ট পর্যন্ত সময় নেওয়াটাই বরং অবাক করেছে তাকে।
সিরিজের প্রথম টেস্টে ফ্ল্যাট উইকেটে পাঁচশর বেশি রান তুলেও ইনিংস ব্যবধানে হেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে তাদের ৫৫৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড করে ৭ উইকেটে ৮২৩, টেস্ট ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ক্যারিয়ার সেরা ৩১৭ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক।
ওই টেস্টের পর নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ঘুরে দাঁড়াতে টার্নিং উইকেটের পথ বেছে নেয় তারা। দলে ফেরানো হয় দুই স্পিনার নোমান আলি ও সাজিদ খানকে। এই দুজনের স্পিনের জবাব খুঁজে পাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। পরের দুই টেস্টে সফরকারীদের ৪০ উইকেটের ৩৯টিই নেন নোমান ও সাজিদ মিলে। চার ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ড করতে পারে মোটে ৮১৪ রান।
২০২২ সালে পাকিস্তান সফরে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার আর পারল না তারা। এই বছরের শুরুতে ভারত সফরে প্রথম টেস্ট জয়ের পরও তারা সিরিজ হেরেছিল ৪-১ ব্যবধানে। বেন স্টোকসের নেতৃত্বে ও ম্যাকক্যালামের কোচিংয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে বদলে যাওয়া দলটি উপমহাদেশে সবশেষ ৭ টেস্টের ৬টিতেই পেল হারের স্বাদ।
রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ টেস্টে শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানে অল আউট হয়ে ৯ উইকেটে ম্যাচ হারের পর স্কাই স্পোর্টসে আলাপচারিতায় ম্যাককালাম বলেন, সিরিজ জয়ের সুযোগ হারিয়ে হতাশ তারা।
“এটাই জীবন। অবশ্যই আমরা সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছি। আমরা কিছু বিষয় ভালো করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়েছি। তবে পাকিস্তান যেভাবে খেলেছে, তাদের অনেক প্রশংসা করতে হবে। কিন্তু আমরা নিজেরা জানি যে, আমাদের সুযোগ ছিল এর চেয়ে ভালো করার এবং এ নিয়ে আমরা কিছুটা হতাশ। পাকিস্তানের কৃতিত্ব প্রাপ্য, যেভাবে এই দুই স্পিনার (নোমান ও সাজিদ) বোলিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত।”
পাকিস্তান টার্নিং উইকেটের পথ বেছে নিতে দেরি করায় যে বিস্মিত হয়েছেন, সেটাও জানিয়ে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম।
“যখন দলগুলো ইংল্যান্ডে আসে, আমরা এমন উইকেটে খেলি, যেগুলোতে আমরা খেলে অভ্যস্ত, যা আমাদের শক্তিকে বিকশিত করে, তার মাঝে কিছু দুর্বলতাও হয়তো থাকে, প্রতিটি দলের জন্যই ব্যাপারটি তাই।”
“আমি কিছুটা অবাক হয়েছি যে, পাকিস্তান এতটা সময় নিয়েছে (স্পিন সহায়ক উইকেট বানাতে)। কারণ, যখন আমরা শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশে খেলতে যাই, সবসময় বল টার্ন করে। কয়েক বছর আগে (২০২২ সালের সফরে) বা এবার প্রথম টেস্টে উইকেট ছিল ফ্ল্যাট, এটি ছিল ভিন্ন চ্যালেঞ্জ… তবে অবশ্যই আমাদের দিক থেকে কোনো অজুহাত নেই, আমাদের সুযোগ ছিল।”