ইনিংসজুড়ে ধুঁকতে থাকা রংপুর রাইডার্স শেষ ৩ ওভারে তুলেছে ৫২ রান, তুলাধুনা করে ছেড়েছে তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজকে।
Published : 30 Jan 2024, 02:37 PM
নিজের প্রথম দুই ওভারে বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষের ওভারগুলোয় তিনি দলের বরাবরের ভরসা। ‘ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট’ বলে কথা! কিন্তু গড়বড় হয়ে গেল সেখানেই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অভিজ্ঞ এই পেসারকে তুলাধুনা করেই শেষ দিকে টর্নেডো বইয়ে দিল রংপুর রাইডার্স।
আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের সঙ্গে মোহাম্মদ নাবি ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ ৩ ওভারে ৫৩ রান তোলে রংপুর। এর মধ্যে মুস্তাফিজের ২ ওভার থেকেই আসে ৩৯ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটিতে রংপুর তোলে ২০ ওভারে ৫ উইকেকটে ১৬৫।
অথচ ইনিংসের বেশির ভাগ সময়ই নিয়ন্ত্রণে ছিল কুমিল্লা। তাদের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে দ্রুত রান তুলতে ভুগছিল রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। নতুন বলে দুই স্পিনার আলিস আল ইসলাম ও তানভির ইসলামের পর প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বোলিংয়ে এসে ২ ওভারে ৯ রানে ১টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহর বোলিংয়েও রান তুলতে পারেনি রংপুর। পরে বাঁহাতি মিডিয়াম পেসে রান আরও আটকে দেন রেমন রিফার। বিপিএলে প্রথম খেলতে নামা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার প্রথম ২ ওভারে দেন ৭ রান।
১৭ ওভার শেষে রংপুরের রান ছিল ১১৩। দেড়শ রানও তখন মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ।
কিন্তু এরপরই পাল্টে যায় সব। মুস্তাফিজের ওভারে টানা তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চার মারেন ওমারজাই। দ্বিতীয় ছক্কাটিতে লং অফে ক্যাচ নিতে গিয়ে বল সীমানার ওপারে ফেলে দেন তানভির। ওই ওভার থেকে আসে ২১ রান।
পরের ওভারে রিফারকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন নাবি। পরের বলে স্লগ করার চেষ্টায় তিনি বোল্ড হয়ে যান। শেষ তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল দিয়ে ওভারটি ভালোভাবে শেষ করেন রিফার। ওভার থেকে আসে ১৩ রান।
শেষ ওভারে আবার মুস্তাফিজকে পেয়ে বসে রংপুর। ওভারের দ্বিতীয় বল সীমানায় পাঠান ওমারজাই। পরে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। এই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
তিন ওভারের ঝড়েই দারুণ লড়িয়ে স্কোরে পৌঁছে যায় রংপুর। ২০ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওমারজাই, ৬ বলে ১৫ রানে সোহান।
২ ওভারে ৯ রান দেওয়া মুস্তাফিজ শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান।
এবারের বিপিএল এরকম ভালো-মন্দ মিলিয়েই কাটছে মুস্তাফিজের। তবে হতাশার ভাগটুকুই বেশি। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট নিলেও মাঝারি রানের ম্যাচে রান খরচ করেন ওভারপ্রতি প্রায় ৯। পরের ম্যাচে বেশ কার্যকর ছিল তার বোলিং। ৩ উইকেট নেন তিনি ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। এরপর এই ম্যাচে আবার নিজের মূল শক্তির জায়গা, মানে শেষের ওভারগুলোতেই ব্যর্থ।