শেষ ওভারে বোলারই বেশি চাপে ছিলেন বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক।
Published : 23 Oct 2022, 11:00 PM
পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ার শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার পর ভারত যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নিল, অনেকের কাছে সেটা অবিশ্বাস্য লাগছে। ম্যাচ সেরা বিরাট কোহলির নিজেরই যেমন ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছে না। তবে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বললেন, ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান থাকায় নড়বড়ে অবস্থায়ও তাদের বিশ্বাস কখনও নড়ে যায়নি।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রায় এক লাখ দর্শকের সামনে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন পাকিস্তানের দুই ভরসা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৫ রানের মধ্যে ফিরে যান দুজনই। পরে ইফতিখার আহমেদ (৫১) ও শান মাসুদের (৫২*) দৃঢ়তায় ১৫৯ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে ভারতের অবস্থা হয় আরও করুণ। দলীয় ১০ রানের মাথায় ফিরে যান দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। হতাশ করেন সূর্যকুমার যাদব ও আকসার প্যাটেলও। স্রেফ ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ভারত।
সেখান থেকে রেকর্ড জুটিতে দলকে টেনে তোলেন কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭৮ বলে আসে ১১৩ রান। পান্ডিয়া ৪০ রান করে ফিরলেও ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে বুক চিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
শেষের ১৮ বল থেকে ৪৮ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো বোলারদের বিপক্ষে যা ছিল খুব কঠিন। তবে উইকেটে কোহলির সঙ্গে পান্ডিয়ার মতো ব্যাটসম্যান থাকায় ভরসার জায়গাও ছিল। তাই পুরো দল সবসময়ই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বলে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন রোহিত।
"এমন দুজন ব্যাটসম্যান যখন উইকেটে থাকে তখন সবসময়ই একটা বিশ্বাস থাকে যে, যত রানই লাগুক তারা করে ফেলবে। বিশেষ করে হার্দিক এমন পরিস্থিতিতে অনেকবার ব্যাটিং করেছে। আর বিরাটের যে অভিজ্ঞতা, যে ধরনের ব্যাটসম্যান সে... আমরা সবসময়ই বিশ্বাস রেখেছি যে তারা আমাদেরকে এই পরিস্থিতি থেকে জেতাতে পারবে।"
"অবশ্যই পরিস্থিতি মোটেও সহজ ছিল না…শেষ ৫ ওভারে ৬২ (আসলে ৬০) রান প্রয়োজন ছিল। যা কখনোই সহজ নয়। বিশেষ করে তাদের যে বোলিং আক্রমণ, যে কেউ তাদের পক্ষেই বাজি ধরবে।"
আফ্রিদির করা ১৮তম ওভারে তিনটি চারে ১৭ রান তুলে নেয় ভারত। পরের ওভারের প্রথম চার বলে স্রেফ তিন রান দেন রউফ। তবে শেষ দুই বলে জোড়া ছক্কায় ৮ বলে ২৮ রান থেকে সমীকরণ ৬ বলে ১৬ রানে নামিয়ে নেন কোহলি।
শেষ ওভারে বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ বোলিংয়ে আসায় বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছিল, বললেন রোহিত।
“অবশ্যই স্পিনার হিসেবে মাত্র ১৫ বা ১৮ রান ডিফেন্ড করা সহজ কাজ নয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে চাপটা সবসময় বোলারের ওপরই থাকে বলে আমি মনে করি। হ্যাঁ, শেষ তিন ওভারে স্নায়ুচাপ সামলে আমরা দারুণ খেলেছি। এটা দেখাটাও আনন্দের।"