বৃষ্টিতে ছোট হয়ে আসা ম্যাচে বাজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আবারও হেরেছে বাংলাদেশ, ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।
Published : 06 May 2024, 09:32 PM
দিন যায়, বদলায় কন্ডিশন ও উইকেট। বদল নেই শুধু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ের অবস্থাও তথৈবচ। দলের ভাগ্য আর কীভাবে বদলাবে! প্রাপ্তি তাই আরও একটি বিব্রতকর পরাজয়। টানা চার জয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি এখন ভারতের সামনে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৫৬ রানে জেতে ভারত।
ভারতের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বৃষ্টি নামলে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভারে। দ্রুততায় রান তুলে ৬ উইকেটে ১২২ রানে থামে ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। নিগার সুলতানার দল করতে পারে কেবল ৬৮ রান।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টির আনাগোনা। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পরে শুরু হয় খেলা। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। একাদশে আনা হয় তিন পরিবর্তন।
স্রেফ ১৪ বছর ৩৪০ দিন বয়সে অভিষেক হয় পেসার হাবিবা ইসলাম পিঙ্কির। তার চেয়ে কম বয়সে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন শুধু লেগ স্পিনার রাবেয়া খান, ১৪ বছর ২৬৮ দিন বয়সে।
অভিষেক ম্যাচটি অবশ্য স্মরণীয় করতে পারেননি হাবিবা। ২ ওভারে ২০ রান খরচায় উইকেট পাননি কোনো। অন্য বোলাররাও তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি ভারতের ব্যাটিংয়ে।
দ্বিতীয় ওভারে শেফালি ভার্মাকে ফিরিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো করেন শরিফা খাতুন। পরে দ্রুত রান তোলেন দায়ালান হেমালাথা ও স্মৃতি মান্ধানা।
২টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ২২ রান করা হেমালাথাকে পাওয়ার প্লের মধ্যেই থামান মারুফা আক্তার। মান্ধানা ২২ করেন ১৮ বলে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে দলের দায়িত্ব নেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর।
চতুর্থ উইকেটে রিচা ঘোষকে নিয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারমানপ্রিত। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। শেষ ওভারে রান আউট হওয়া ভারত অধিনায়ক ৫ চারে ২৬ বলে করেন ৩৯ রান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মারুফা ও রাবেয়া। চার ম্যাচে তৃতীয়বার উইকেটশূন্য থাকেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
রান তাড়ায় ১ রানে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। এরপর ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর আশা জাগান আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার ও প্রায় এক বছর দলে ফেরা রুবাইয়া হায়দার। কিন্তু কেউ পারেননি বেশি সময় টিকতে।
অষ্টম ওভারে দিলারার বিদায়ের ভাঙে ২০ রানের জুটি। এরপর তিন বলের মধ্যে ফেরেন রুবাইয়া ও নিগার সুলতানা। পরে রিতু মনি ও স্বর্ণা আক্তারও অল্প রানে আউট হলে পঞ্চাশের আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে শরিফা ও নাহিদা কোনোরকমে ১৪ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারেন।
কার্যকর ইনিংসটি খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান হারমানপ্রিত।
একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃহস্পতিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৪ ওভারে ১২২/৬ (শেফালি ২, স্মৃতি ২২, হেমলাথা ২২, হারমানপ্রিত ৩৯, রিচা ২৪, সাজিভান ৮*, পুজা ১; মারুফা ৩-০-২৪-২, শরিফা ৩-০-২৯-১, হাবিবা ২-০-২০-০, নাহিদা ৩-০-২১-০, রাবেয়া ৩-০-২৮-২)
বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৪ ওভারে ১২৫) ১৪ ওভারে ৬৮/৭ (দিলারা ২১, মুর্শিদা ১, রুবাইয়া ১৩, নিগার ১, স্বর্ণা ৫, রিতু ১, শরিফা ১১*, রাবেয়া ৮, নাহিদা ২*; তিতাস ২-০-১০-০, পুজা ৩-০-১৫-১, দিপ্তি ৩-০-১৩-২, রাধা ৩-১-১২-১, আশা ৩-০-১৮-২)
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ভারত ৫৬ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ভারত ৪-০তে এগিয়ে
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: হারমানপ্রিত কৌর