টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আরও ১০-২০ রান বেশি চেয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
Published : 19 Jan 2024, 08:25 PM
শুরুতে এক ওপেনারের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়লেন টপ-অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যান। তবু বড় হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সংগ্রহ। পরে বোলিংয়ে খানিক সম্ভাবনা জাগালেও পরাজয়ে যাত্রা শুরু হলো বিপিএলের শিরোপাধারীদের। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাই আর কিছু রানের আক্ষেপ রইল অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৫ উইকেটে হেরেছে কুমিল্লা। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৪৩ রান। যা তিন বল হাতে রেখে টপকে গেছে এবারের আসরের নবাগত দল ঢাকা।
এক পর্যায়ে স্রেফ ১ উইকেটে ১৩০ রান করে ফেলে কুমিল্লা। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রান যোগ করেন ইমরুল কায়েস ও তাওহিদ হৃদয়। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাটে দেড়শ ছাড়িয়ে জেতার মতো সংগ্রহে পৌঁছে যাবে কুমিল্লা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে স্রেফ ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এর আগেই থামে তারা।
ইমরুল ৫২ বলে ৬৬ ও হৃদয় ৪১ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। তাদের জুটির ১০৭ রান আসে ৮৭ বল থেকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, এই দুজনের কাছ থেকে আরেকটু বেশি চাওয়া ছিল তার।
“আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম মনে হয়েছে, উইকেটটা ভালো। পেস বোলিং খেলা একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু স্পিনারদের জন্য তেমন কঠিন ছিল না। আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যেহেতু লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে, তারা যদি আরও ১০-২০টা রান তুলে দিতে পারত, ভালো হতো। তবে সংগ্রহ খারাপ ছিল না, লড়াই করার স্কোরই ছিল।”
“যারা ওপরের দিকে ব্যাটিং করেছে, তারা যদি আরও একটু ভালো খেলে যদি ফিনিশ দিয়ে আসত... হৃদয় বা কায়েস ভাইয়ের মধ্যে যদি কেউ ১০ বল খেলে ২০টা রান বাড়তি করে দিয়ে আসত, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকত। তবে কায়েস ভাই অনেকদিন পর রান করছে। এটা আমাদের জন্য ভালো।”
চলতি আসর শুরুর আগে কুমিল্লার অধিনায়কত্ব হারানো ইমরুলের বিপিএলে একাদশ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস এটি। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এর আগে তার সবশেষ ফিফটি ছিল ২০২২ সালের আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে, অপরাজিত ৮১ রান। বিপিএলে সেটিই তার সর্বোচ্চ ইনিংস। ওই ম্যাচের প্রায় দুই বছর ও ১৮ ইনিংস পর আবার ফিফটি করলেন তিনি।
ইমরুলের খরা কাটানোর দিনে গত আসরের মতো এবারও হার দিয়ে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা। গত বছর টানা তিন ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। চমৎকার প্রত্যাবর্তনে শেষ পর্যন্ত শিরোপার হ্যাটট্রিক করে তারা।
সেই কথা মনে রেখেই যেন পরাজয়ের মাঝেও সান্ত্বনা খুঁজে নিলেন লিটন।
“প্রত্যেকটা হারই তো কষ্টের। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছি, আমি তো চাইব ম্যাচ জিততে। এদিকে দিয়ে তো অবশ্যই খারাপ লাগবে যে, হেরে গেছি প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচে। একই সঙ্গে মনের ভিতর এটাও থাকে যে কুমিল্লা সবসময়ই প্রথম ম্যাচ হারে। আমি স্যারের (সালাউদ্দিন) সঙ্গে সেদিনও কথা বলছিলাম। স্যার বলছিল ‘আমরা প্রথম ম্যাচ এমনেই হেরে যাই।’ আর হারলেই নাকি স্যারের জন্য লাকি। এটা নিয়ে চিন্তিত নই।”
“একটা জিনিস আমাদের ভালো হয়েছে যে, একটা মোটামুটি স্কোর করেও... আমাদের বোলাররা আমাদের দেখিয়েছে যে আমরাও পারি। আমরা পুরো দলটা দেখতে পারলাম, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় শক্তিশালী। এখন আমরা বসে আলোচনা করে জিনিসটা তৈরি করতে পারব। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে আশা করি ভালো কিছু হবে।”