এই লেগ স্পিনারের চোখে কোহলি ‘দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান, দারুণ এক মানুষ’, ওই ম্যাচে শুবমান গিলকে বোল্ড করার পর আলোচিত-সমালোচিত সেই উদযাপন নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করলেন তিনি।
Published : 07 Mar 2025, 02:40 PM
স্বাগতিক হয়েও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের বেদনা হয়তো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পোড়াচ্ছে এখনও। তবে আবরার আহমেদের হৃদয়ে ভালো লাগার একটি স্রোতও বইছে। ছেলেবেলার একটি স্বপ্ন যে পূরণ হয়েছে তার! ভিরাট কোহলিকে বোলিং করেছেন, সেই রোমাঞ্চ এখনও ছুঁয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের লেগ স্পিনারকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে ম্যাচে হেরে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়, সেটিই ছিল আবরারের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ। দুবাইয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান।
দ্বাদশ ওভারে আবরারকে যখন বোলিংয়ে আনা হয়, তার স্বপ্নও তখন সত্যি হয়ে ওঠে। স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন কোহলিই।
তিনি বা পাকিস্তানের কোনো বোলারই সেদিন আউট করতে পারেননি কোহলিকে। ২৪২ রান তাড়ায় অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ভারতকে সেমি-ফাইনালে তোলার পাশাপাশি পাকিস্তানকে ছিটকে দেন এই তারকা। তবু এই ম্যাচই আবরারকে দিয়েছে আকা
“কোহলিকে বল করার ছেলেবেলার স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে দুবাইয়ে। দারুণ এক চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি তাকে কিছুটা উসকেও দিয়েছি, আমাকে ছক্কা মারার কথা বলে। তবে তিনি কখনোই রেগে যাননি। আমরা সবাই জানি কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান, কিন্তু সে দারুণ এক মানুষও।”
২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব আবরারের। অভিষেক ইনিংসেই নিয়েছিলেন তিনি সাত উইকেট। এরপর অনেক দিন তাকে টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। ভারত তো পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলে না। আবরারের সুযোগ হয়নি কোহলিকে বল করার। গত বছর থেকে সীমিত ওভারেও খেলছেন আবরার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোহলির মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ তার এলো।
পাকিস্তান হারলেও সেদিন দলের সেরা বোলার ছিলেন আবরার। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন একটি। ম্যাচ হারলেও কোহলির প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগায় মন ভরে যায় তার।
“ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, ‘ভালো বল করেছো।’ আমার দিনটাই তাতে রঙিন হয়ে ওঠে। কোহলিকে আদর্শ মেনেই বেড়ে উঠেছি এবং। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে খেলার সময় সবাইকে বলতাম, একদিন কোহলিকে বল করব।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরিতে স্রেফ সাতটি চার মেরেছিলেন কোহলি। বাকি রান দিয়েছিলেন দৌড়ে। তাতে মুগ্ধতার শেষ নেই আবরারের।
“কোহলির ফিটনেস অসাধারণ। যেভাবে সে উইকেটে দৌড়ায়, তা নজর কাড়ার মতো এবং এটিই তাকে অনন্য করে তুলেছে।”
ওই ম্যাচে কোহলিকে স্বাক্ষী রেখেই একমাত্র উইকেটটি নিয়েছিলেন আবরার। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন তিনি শুবমান গিলকে।
ওই আউটের পর বুকে হাত রেখে চোখ নাচিয়ে গিলক ড্রেসিং রুমের পথ দেখিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান হারার পর তার ওই উদযাপন নিয়ে ভারতে সমালোচনা-ট্রল হয়েছে অনেক। সেই উদযাপন নিয়েও মুখ খুললেন ২৬ বছর বয়সী স্পিনার।
“এটাই আমার ধরন এবং এখানে ভুল কিছু দেখি না আমি। কোনো অফিসিয়াল বলেনি যে ভুল কিছু করেছি। তবে কাউকে আঘাত করে থাকলে আমি দুঃখিত। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না আমার।