ইংলিশ বোলারদের ধুয়ে দিলেন পিটারসেন

অ্যাশেজের লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে ইংলিশ পেসারদের পারফরম্যান্স ও শরীরী ভাষায় ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার কেভিন পিটারসেন।

আকাশ মেঘলা, চারপাশ গুমোট। দিনের শুরুতেই জ্বলে উঠল ফ্লাড লাইট। বাতাস ভেজা। উইকেটে সবুজের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে পেস বোলারদের জন্য স্বপ্নের এক কন্ডিশন। কিন্তু সেই কন্ডিশনের ফায়দা নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের পেসাররা। অ্যাশেজের লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে স্বদেশি পেসারদের ধারহীন বোলিং ও ম্রিয়মান শরীরী ভাষায় বেজায় চটেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার কেভিন পিটারসেন।

আদর্শ কন্ডিশনে বুধবার টস জিতে বোলিং নিতে দেরি করেননি ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। কিন্তু বোলাররা হতাশ করেন দলকে। শুরুতে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি তারা। ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা ৯ ওভার সাবধানী ব্যাটিংয়ে ২০ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ।

বৃষ্টি শেষেও কন্ডিশনকে কাজে লাগাতে পারেনি ইংলিশরা। উল্টো আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ফেলেন ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত খাওয়াজাকে ফিরিয়ে যখন জশ টং প্রথম উইকেট এনে দেন ইংল্যান্ড, ততক্ষণে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

টং পরে ৬৬ রান করা ওয়ার্নারকেও বিদায় করেন। কিন্তু মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দারুণ ব্যাটিংয়ে দিনটি নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওভারপ্রতি চারের বেশি রান তুলে ৮৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে তারা শেষ করে দিন। লাবুশেন ৪৭ রানে ফিরলেও ৭৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন হেড, স্মিথ দিন শেষ করেন ৮৫ রানে অপরাজিত থেকে।

শেষ সেশনে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই এক ওভারে হেড ও ক্যামেরন গ্রিনের উইকেট নেন খন্ডকালীন স্পিনার জো রুট। নইলে ইংল্যান্ডের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারত।

স্কাই স্পোর্টসে আলোচনায় আরেক সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানকে পাশে নিয়ে আলোচনায় ইংলিশ বোলারদের একহাত নেন পিটারসেন।

“ইংল্যান্ডের খুব বেশি কিছু আমার নজর কাড়তে পারেনি… বোলিং ছিল অগোছালো, একদমই এলোমেলো। আকাশ ছিল মেঘলা, কন্ডিশন দারুণ উপযুক্ত, উইকেটও বোলিং সহায়ক… কিন্তু বোলাররা বল করছিল স্রেফ ঘণ্টায় ৭৮, ৭৯ মাইল গতিতে।”

পিটারসেনের মতে, ইংল্যান্ডের কোচের উচিত বোলারদেরকে কাঠগড়ায় তোলা। আগের টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম দিনেই ইনিংস ঘোষণার সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েও খোঁচা দেন ২০০৫ অ্যাশেজ জয়ের নায়ক।

“আশা করি  ড্রেসিং রুমে ইংল্যান্ড কোচ তাদেরকে (বোলারদের) কঠিন শিক্ষা দিয়ে বলছে যে, ‘এটুকু যথেষ্ট নয়। মোটেও যথেষ্ট নয়। এখানে আজকে এরকম বোলিং করতে পারো না তোমরা, এই কন্ডিশনে মোটেও এরকম করতে পারো না।”

“৩৯০ রানে ইনিংস ঘোষণাও করতে পারো না তোমরা। অস্ট্রেলিয়া কি ৩৯০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠাবে? মোটেও না।”