দলগত বড় সাফল্যের দিনে একটু ব্যক্তিগত হতাশা সঙ্গী হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের জয়ের নায়ক মাহফিজুল ইসলামের।
Published : 24 Apr 2025, 06:39 PM
হারলেই নেমে যেতে হবে প্রথম বিভাগে। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি তাই হয়ে ওঠে ‘অলিখিত ফাইনাল।’ গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন মাহফিজুল ইসলাম। স্রেফ দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে গড়ে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত। সঙ্গে বাকিদের অবদানে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি গড়ল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পরে বাকি কাজ সারলেন দলটির বোলাররা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রেলিগেশন লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বৃহস্পতিবার পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১১৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স। ২৯৪ রান নিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দিয়েছে কেবল ১৮১ রানে।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে গেছে ব্রাদার্স। সমান ম্যাচে পারটেক্স ৮ ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম বিভাগে নেমে গেছে।
আর প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত হয়েছে ঢাকা লেপার্ডস ও সিটি ক্লাব।
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক মাহফিজুল ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৯৮ রান করেন। ৭ চারে ৫০ রান আসে দলটির অধিনায়ক মাইশুকুর রহমানের ব্যাট থেকে।
২ ছক্কা ও ৩ চারে মিজানুর রহমান করেন ৪২ রান। আইচ মোল্লা ৪৮ রান করতে মারেন ৩ ছক্কা ও দুটি চার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মাহফিজুল ও মাইশুকুর। তাদের ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে মাইশুকুরের বিদায়ে। পরে জাহিদউজ্জামানকেও দ্রুত হারায় দলটি।
৫৪ বলে ফিফটি করা মাহফিজুল দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন। তার শতক মনে হচ্ছিল, স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ইয়াসিন মুনতাসিরের বলে বোল্ড হয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্সের ওপেনার।
পরে ৮০ রানের জুটিতে দলের রান আড়াইশ পার করেন মিজানুর ও আইচ। তাদের বিদায়ের পর শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি ব্রাদার্স। শেষ ৫ ওভারে ২৯ রান আসে ৪ উইকেট হারিয়ে।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পারটেক্স। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত ধরে রাখেন আদিল। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ৭৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
পারটেক্সের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল দুইজন। যার মধ্যে ৩০ পার করতে পারেন কেবল আহরার আমিন (২ ছক্কা ও ১ চারে ৩৩)।
ব্রাদার্সের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন রকিবুল আতিক ও অলক কাপালি। দুটি প্রাপ্তি সালাউদ্দিন শাকিলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৫০ ওভারে ২৯৪/৯ (মাহফিজুল ৯৮, মাইশুকুর ৫০, জাহিদউজ্জামান ১২, মিজানুর ৪২, আইচ ৪৮, সোহাগ ১৬, অলক ৭, সুমন ২, রকিবুল ৩*, শাকিল ৮, জায়েদ ১*; শহিদুল ১০-৩-৫৮-২, মুক্তার ৯-০-৪৬-১, আলাউদ্দিন ৮-০-৪৯-২, আহরার ৬-০-৩৬-০, ইয়াসিন ১০-০-৩৪-২, জয়রাজ ২-০-২৯-০, রুবেলন১-০-১৫-০, নাঈম ৪-০-২৬-০)
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৩৭.১ ওভারে ১৮১ (আদিল ৮৫, জয়রাজ ৬, রুবেল ৪, রাকিব ১৭, সাব্বির ৬, আহরার ৩৩, মুক্তার ০, আলাউদ্দিন ৫, ইয়াসিন ৮, শহিদুল ৭, নাঈম ১*; জায়েদ ৬.১-০-৩০-১, শাকিল ৪-০-২৯-২, সুমন ৪-০-২৩-০, রকিবুল ১০-০-৩৬-৩, অলক ৮-০-৪৭-৩, সোহাগ ৫-০-১৫-১)
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১১৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাফফিজুল ইসলাম