দিনের শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট উপহার পেয়ে জিম্বাবুয়ের কাজ সহজ হয়ে গেছে।
Published : 23 Apr 2025, 10:03 PM
নাজমুল হোসেন শান্তকে যত দ্রুত সম্ভব বিদায় করা। প্রথম সেশনে আরও দু-একটি উইকেট নেওয়া। দিনের খেলা শুরুর সময় এরকমই লক্ষ্য ছিল জিম্বাবুয়ের। ছিল নানা পকিল্পনা। কে জানত, দিনের শুরুতেই শান্তর কাছ থেকে মিলবেন দারুণ এক উপহার! ম্যাচ জেতার পর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন বললেন, বাংলাদেশ অধিনায়কের ওই আউট থেকেই দিনের বাঁক বদলের শুরু।
৬০ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত বাজে এক শটে উইকেট বিলিয়ে দেন দিনের দ্বিতীয় বলেই। বাংলাদেশের বড় স্কোরের সম্ভাবনায় প্রবল চোট লাগে তাতে। একটু পর তাকে অনুসরণ করে সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও। দলের আশাও তখন প্রায় শেষ।
পরে জাকের আলি ফিফটি করলেও ব্লেসিং মুজারাবানি ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আটকে রাখেন ২৫৫ রানে।
ম্যাচের পর আরভাইন বললেন, সকালেই জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে তার দল।
“আমরা চেয়েছিলাম সকালে দ্রুত উইকেট নিয়ে। প্রথম ওভারের মতো এত দ্রুত শান্তকে আউট করতে পারা আমাদের জন্য ছিল দারুণ। ব্লেস (মুজারাবানি) যেভাবে শুরু করেছিল, তা ছিল দুর্দান্ত। সে আমাদেরকে সহায়তা করেছে ওদেরকে চেপে ধরতে। পরে জাকের আলি শেষ দিকে ভালো ভূমিকা পালন করেছে।”
লক্ষ্য মাত্র ১৭৪ হলেও জয়টা সহজে ধরা দেয়নি জিম্বাবুয়ের। যদিও বেন কারান ও ব্রায়ান বেনেট উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৯৫ রান। তবে এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে বিপাকে পড়ে যায় সফরকারীরা। একের পর এক উইকেট নিয়ে একসময় জয়ের সম্ভাবনাও জাগায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় আরভাইনের দলই।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা যখন আউট হন, জয়ের জন্য তখন ১৩ রান লাগে জিম্বাবুয়ের। মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম যেভাবে বোলিং করছিলেন, তাতে ওই লক্ষ্যও মনে হচ্ছিল বেশ দূরের পথ। ওয়েসলি মাধেভেরে ও রিচার্ড এনগারাভা অবশ্য নিরাপদেই পাড়ি দেন সেই দূরত্ব।
তবে ড্রেসিং রুমে সবাই একটু শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল, স্বীকার করলেন আরভাইন।
“ড্রেসিং রুম নার্ভাস ছিল বটে। চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া, এত কাছাকাছি থাকা, এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা ঠিক অভ্যস্ত নই। লক্ষ্য ছোঁয়ার কাছাকাছি গিয়ে তাই স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসেছিল, যে কোনো কিছুর চেয়ে জয়টাই তখন কাঙ্ক্ষিত ছিল।”
স্নায়ুর চাপকে জয় করে শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে পৌঁছে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় তারা চার বছর পর।