টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
শেষ ৩০ বলে ৩০ রানের 'সহজ' সমীকরণ মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
Published : 29 Jun 2024, 07:50 PM
শেষটা শিরোপা জিতে রাঙালেন রাহুল দ্রাবিড়
ভারতের কোচ হিসেবে শেষটা শিরোপা জিতে রাঙাতে পারলেন রাহুল দ্রাবিড়।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়েই ভারতের কোচ হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে বোর্ডের অনুরোধে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত রয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে এটিও জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর আর নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়ন ভারত
হাইনরিখ ক্লসেনের বিধ্বংসী ফিফটিতে ম্যাচ মুঠোয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তার বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলল তারা। দলটির আশা বাঁচিয়ে রাখা ডেভিড মিলারও শেষ ওভারে ফিরলেন দলকে হতাশ করে। শেষ দিকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত।
বারবাডোজে শনিবার রোমাঞ্চকর ফাইনালে ভারতের জয় ৭ রানে। ১৭৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দিল ১৬৯ রানে।
১৭ বছর অপেক্ষার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসরে ২০০৭ সালে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল তারা। অবশেষে ফুরাল সেই অপেক্ষা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের পর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা দল এখন ভারত। একটি করে শিরোপা আছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার।
ভারতের এক জয়ের নায়কদের একজন ভিরাট কোহলি। আসর জুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী ভারতীয় মহাতারকা নিজেকে মেলে ধরেন ফাইনালে। খেলেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস। ব্যাট হাতে ৪৭ রান করে বড় অবদান রাখেন আকসার প্যাটেল।
পরে বল হাতে আলো ছড়ান আর্শদিপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২০ রান দেন আর্শদিপ, বুমরাহ দেন কেবল ১৮। তাদের প্রাপ্তি দুটি করে উইকেট। ভারতের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ২০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন হাইনরিখ ক্লসেন। কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৩৯। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ৩১।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)
ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী
সুরিয়াকুমারের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন মিলার
শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণে প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারলেন ডেভিড মিলার। একটা সময় মনে হচ্ছিল ছক্কা। কিন্তু লং অফ থেকে বাঁদিকে দৌড়ে এসে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
১৭ বলে ২১ রান করলেন মিলার। তাতে প্রায় শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা আশা। শেষ ৫ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ১৬ রান।
শেষ ওভারে চাই ১৬
মার্কো ইয়ানসেনের বিদায়ের পর চাপে পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জাসপ্রিত বুমরাহর করা ১৮তম ওভারে স্রেফ নিতে পারল ২ রান। ১৯তম ওভারে আর্শদিপ সিংও করলেন দুর্দান্ত বোলিং। রান আসল কেবল ৪।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ১৬।
ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিলেন বুমরাহ
উইকেটের খোঁজে জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে বল তুলে দিলেন রোহিত শার্মা। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। চমৎকার বোলিংয়ে মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছেন এই পেসার।
বুমরাহর ভেতরে ঢোকা বলের লাইনেই যেতে পারলেন না ইয়ানসেন। তার লেগ স্টাম্পে হালকা ছুঁয়ে বেলস ফেলে দিল বল। উল্লাসে মাতল ভারত। ৪ বলে ২ রান করে ফিরলেন ইয়ানসেন।
৪ ওভারের কোটা শেষ করলেন বুমরাহ স্রেফ ১৮ রান দিয়ে। সঙ্গে নিলেন ২ উইকেট।
ডেভিড মিলারের সঙ্গে ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান কেশভ মহারাজ।
বিধ্বংসী ফিফটি করে ফিরলেন ক্লসেন
চমৎকার ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেও কাজ শেষ করে ফিরতে পারলেন না হাইনরিখ ক্লাসেন। রান তাড়ায় তার বিদায়ের পর কিছুটা চাপে পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
হার্দিক পান্ডিয়ার করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান ক্লসেন। পা একটুও নড়াননি তিনি। তাতে ব্যাটে বলে ঠিকমতো লাগাতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
থামে ক্লসেনের ৫ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ভাঙে ডেভিড মিলারের সঙ্গে তার ২২ বল স্থায়ী ৪৫ রানের জুটি।
ক্রিজে মিলারের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান এখন মার্কো ইয়ানসেন।
ক্লসেনের ফিফটি
বিশ্বকাপের ফাইনালে ঝড় তুললেন হাইনরিখ ক্লসেন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক ফিফটি উপহার দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। পঞ্চাশ ছুঁতে তার লাগল স্রেফ ২৩ বল।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম ফিফটি করার পথে পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন ক্লসেন। এই সংস্করণের বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম ফিফটি।
ক্লসেন ঝড়ে উড়ে গেল আকসার
আকসার প্যাটেল যেন বল ফেলার জায়গাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যেখানেই ফেলছেন সেখান থেকেই বল বাউন্ডারিতে ফেলছেন হাইনরিখ ক্লসেন। বাঁহাতি এই স্পিনারের ওপর ঝড় বইলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান।
আকসারের করা পঞ্চদশ ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন ক্লসেন। ওভার থেকে আসে ২৪ রান। এই এটাই সবচেয়ে খরুচে ওভার।
ক্লসেনের তাণ্ডবে ১৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উক্কেত ১৪৭। জয়ের জন্য তাদের চাই ৩০ বলে ৩০ রান।
ডি কককে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
আর্শদিপ সিংকে আগের বলেই ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছিলেন কুইন্টন ডি কক। এরপরই কুলদিপ ইয়াদাভকে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে পাঠান রোহিত শার্মা। কিন্তু একই শট খেলতে গেলেন ডি কক। এবার আর পেলেন না বাউন্ডারি। ধরা পড়লেন ফাইন লেগ সেই জায়গায়।
এক ছক্কা ও ৪টি চারে ৩১ বলে ৩৯ রান করে ফিরলেন ডি কক। ভাঙল হাইনরিখ ক্লসেনের সঙ্গে তার ৩৬ রানের যুগল।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান অভিজ্ঞ ডেভিড মিলার।
দক্ষিণ আফ্রিকার ১০০
কুলদিপ ইয়াদাভের গুগলি এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ওড়ালেন হাইনরিখ ক্লসেন। তার ওই বাউন্ডারিতে দলীয় শতরান স্পর্শ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে ৭০ বলে একশ করল দলটি।
জয়ের জন্য এখনও ৭৭ রান চাই দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের হাতে বৈধ বল আছে ৫০টি।
মাঝপথে ভারত চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
উইকেট সমান হারালেও রানের দিকে ইনিংসের মাঝপথে ভারতের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ১০ ওভার শেষে তাদের রান ৩ উইকেটে ৮১। একই সময়ে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭৫।
প্রোটিয়াদের টানছেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংস শুরু করতে নামা ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩০ রানে। উইকেটে তার সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেনের রান ৮।
উইকেট ছুঁড়ে এলেন স্টাবস
দলের বিপদে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাল ধরেছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে তার জুটিও জমে উঠেছিল। কিন্তু নিজের উইকেট বিলিয়ে এলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আকসার প্যাটেলকে ছক্কা মেরে ওভারটি শুরু করেছিলেন স্টাবস। ওভারের পঞ্চম বলে অফ সাইডে অনেকটা সরে গিয়ে সুইপ করতে যান তিনি। কিন্তু স্টাম্প সোজা বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যান। বল ছোবল দেয় মিডল স্টাম্পে।
এক ছক্কা ও ৩ চারে ২১ বলে ৩১ রান করে ফেরেন স্টাবস। ভাঙে ৩৮ বল স্থায়ী ৫৮ রানের জুটি।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন হাইনরিখ ক্লসেন। তার সঙ্গে আছেন কুইন্টন ডি কক।
ডি কক-স্টাবসের জুটিতে ৫০
কুলদিপ ইয়াদাভকে স্লগ করে বিশাল এক ছক্কা মারলেন কুইন্টন ডি কক। ওই বাউন্ডারিতে ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে তার জুটির রান স্পর্শ করল পঞ্চাশ, ৩৩ বলে।
দ্রুত ২ উইকেট হারানো দলকে টানছেন তারা দুইজন। দুইজনই রান বাড়াচ্ছেন সমান গতিতে। জুটিতে ডি ককের অবদান ২৬, স্টাবসের ২৪।
পাওয়ার প্লেতে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রিজা হেনড্রিকসকে বোল্ড করে দিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারে আর্শদিপ সিংয়ের শিকার এইডেন মার্করাম। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টানার চেষ্টা করছেন কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবস। চাপে পড়া দলকে পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট পড়তে দেননি তারা।
প্রথম ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৪২। ১৫ বলে ২০ রানে খেলছেন ডি কক। স্টাবসের রান ১১ বলে ১২।
রিভিউ হারাল ভারত
আরেকটি উইকেট নিতে উন্মুখ হয়ে ওঠা ভারত নিল রিভিউর সাহায্য। কিন্তু তাতে লাভ হলো না। উল্টো একটি রিভিউ হারাল তারা।
আর্শদিপ সিংয়ের বাউন্সার পুল করেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। বল জমা পড়ে রিশাভ পান্তের গ্লাভসে। আবেদন করে ভারত। আম্পায়ার সাড়া না দিলে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নেয় তারা।
রিভিউতে দেখা যায় বল ডি ককের ব্যাট কিংবা গ্লাভসের কোথাও লাগেনি। তখন ২ রানে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিপার-ব্যাটসম্যান।
বুমরাহর পর আর্শদিপের আঘাত
অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত করলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এইডেন মার্করাম। ফাইনালে এসেও অনুজ্জ্বল তিনি। দলকে চাপে ফেলে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আর্শদিপ সিংয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিতে ব্যাট চালিয়ে দেন মারক্রাম। হালকা বেরিয়ে যাওয়া বলটি ব্যাটে খেলতে পারলেন না তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া বলটি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে জমান রিশাভ পান্ত।
১ চারে ৫ বলে ৪ রান করে ফিরলেন মারক্রাম। ১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভারত।
উইকেটে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গী ট্রিস্টান স্টাবস।
শুরুতেই ফিরলেন হেনড্রিকস
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। জাসপ্রিত বুমরাহর চোখধাঁধানো ডেলিভারিতে বোল্ড করে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন রিজা হেনড্রিকস।
ওভারের তৃতীয় বলটি লেংথে করে বুমরাহ। বলের লাইনেই ব্যাট চালিয়েছিলেন হেনড্রিকস। কিন্তু হালকা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলটি তার ব্যাট পরাস্ত করে ছোবল দেয় অফ স্টাম্পে। কিছুই করার ছিল না ব্যাটসম্যানের।
এক চারে ৫ বলে ৪ রান করে ফিরলেন হেনড্রিকস। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন এইডেন মার্করাম। তার সঙ্গে আছেন কিপার-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পুঁজি গড়েছে ভারত। তাদের ১৭৬ রানের চেয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বেশি করতে পারেনি কোনো দল। তাই রান তাড়ায় রেকর্ড গড়ে জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ফাইনালে আগের সর্বোচ্চ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০২১ আসরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭২ রান তাড়ায় ১৭৩ রান করেছিল তারা। এবার বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করে জিততে হবে প্রোটিয়াদের।
১৭৬ রানে থামল ভারত
ইনিংসের শেষ ওভারে খুব বেশি রান নিতে পারল না ভারত। আনরিক নরকিয়ার ওভারটি থেকে স্রেফ ৯ রান তুলতে ২ উইকেট হারাল তারা। ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করল ২০০৭ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ ১০ ওভারে আসে ১০১ রান।
নরকিয়া ছক্কার চেষ্টায় ডেভিড মিলারের হাতে লং-অফে ধরা পড়েন দুবে। ১৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৭ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজাও তুলে দেন ক্যাচ। স্রেফ ২ রান করতে পারেন তিনি। প্রথম ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারানো নরকিয়া শেষ ওভারে পান ২ উইকেট।
পাওয়ার প্লেতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পরে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে দলটিকে এই পুঁজি এনে দেওয়ার পথে বড় অবদান রাখেন ভিরাট কোহলি। আসরে নিজের প্রথম ফিফটি করা ভারতীয় তারকা ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৯ বলে খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস।
অবদান কম নয় আকসার প্যাটেলের। কোহলির সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৩১ বলে ৪৭ রান। শেষ দিকে ১৬ বলে ২৭ রান করেন দুবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নরকিয়া ও মহারাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)
ছক্কার চেষ্টায় অক্কা কোহলি
ফিফটির পর দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন ভিরাট কোহলি। দারুণ কিছু শটে কয়েকটি চার-ছক্কাও মারেন তিনি। কিন্তু ইনিংস শেষ করে ফিরতে পারলেন না ভারতীয় তারকা। বিদায় নিলেন ছক্কার চেষ্টায়।
১৯তম ওভারে মার্কো ইয়ানসেনকে একটি চার ও ছক্কা মারেন কোহলি। ওভারের পঞ্চম বলটি খানিকটা টেনে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার। সজোরে মেরেও বাউন্ডারি পার করতে পারেননি তিনি। ধরা পড়েন ওয়াইড লং-অন বাউন্ডারিতে।
আসরে প্রথম ফিফটি করা কোহলি থামেন ৫৯ বলে ৭৬ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ৬ চার ও ২ ছক্কায়।
কোহলির বিদায়ে ভাঙে ৩৩ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। উইকেটে শিভাম দুবের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়া।
আসরে কোহলির প্রথম ফিফটি
চলতি বিশ্বকাপে নিজেকে খুঁজে ফিরছিলেন ভিরাট কোহলি। আগের ৭ ম্যাচের একটিও ফিফটি করতে পারেননি। বিবর্ণ আসরের একেবারে শেষ ম্যাচে এসে পঞ্চাশের দেখা পেলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে এসে দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময় নিজেকে মেলে ধরলেন কোহলি। ইনিংস শুরু করতে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৮ বলে ফিফটি করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ৩৮তম ফিফটি।
আগের ৭ ম্যাচে কেবল দুইবার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন তিনি। তার মধ্যে একবার যেতে পারেননি চল্লিশের ঘরে। দুইবার আউট হয়েছেন তিনি রানের খাতা খোলার আগে।
রান আউটে থামলেন আকসার
টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিংয়ে দলের রান দ্রুত বাড়ানোর কাজটি করছিলেন আকসার প্যাটেল। কিন্তু তাকেই এবার হারিয়ে ফেলল ভারত। রান আউটে কাটা পড়লেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কাগিসো রাবাদার বলটি ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারলেন না ভিরাট কোহলি। গ্লাভসে হালকা লেগে বল যাচ্ছিল ফাইন লেগের দিকে। দৌড়ে বল ধরে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করলেন কুইন্টন ডি কক। বল ছোবল দিল স্টাম্পে। কিন্তু তখনও ক্রিজ থেকে বাইরে ছিলেন আকসার।
ডি ককের দারুণ সরাসরি থ্রোয়ে ৫৪ বল স্থায়ী ৭২ রানের জুটি ভাঙল দক্ষিণ আফ্রিকা। অল্পের জন্য ফিফটি করতে পারলেন না আকসার। চারটি ছক্কা ও এক চারে ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেন তিনি।
১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল ভারত। কোহলির সঙ্গে উইকেটে ভারতের নতুন ব্যাটসম্যান শিভাম দুবে।
ভারতের ১০০
চতুর্দশ ওভারে বোলার কাগিসো রাবাদার মাথার ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে উড়িয়ে ফেললেন আকসার প্যাটেল। তাতে দলীয় রান একশ স্পর্শ করল ভারতের।
শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে ভারতের শতরান ছুঁতে লাগল ৭৯ বল।
কোহলি-আকসারের জুটির পঞ্চাশ
ভীষণ চাপে পড়া দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন আকসার প্যাটেল। দ্রুত রান বাড়াচ্ছেন তিনি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ ভিরাট কোহলি। দুইজনের ব্যাটে ৪২ বলে ৫০ রানের জুটি পেয়েছে ভারত। যেখানে কোহলির অবদান স্রেফ ১৮। আকসার নিয়েছেন ৩০ রান।
মাঝপথে ভারতের ৭৫
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ভারত। ভিরাট কোহলি ও আকসার প্যাটেলের ব্যাটে এগোচ্ছে তাদের রান।
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটির ম্যাচের ১০ ওভার শেষে রান ৩ উইকেটে ৭৫।
উইকেটে নেমেই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দিয়েছেন আকসার। মুখোমুখি প্রথম বলে চার মারা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এইডেন মারক্রামের পর কেশভ মহারাজকে মেরেছেন ছক্কা। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন কোহলি। তাদের দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৩৩ বলে ৪১ রানের। যেখানে আকসারের অবদান ১০ বলে ২৬ ও কোহলির ১৩ বলে ১৪।
পাওয়ার প্লে শেষে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। বল ব্যাটে আসছিল বেশ ভালোভাবে। সেখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ছড়ালেন আলো। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে নিজেদের করে নিল প্রথমবার বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলতে নামা দলটি।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করেছে ভারত। ভিরাট কোহলির সঙ্গে দলকে টানছেন আকসার প্যাটেল। ২৫ রানে খেলছেন কোহলি, আকসার আছেন ৮ রান নিয়ে।
ভারতের দারুণ শুরুর পর ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া শিকার ধরেন কেশভ মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনার তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন রোহিত শার্মা ও রিশাভ পান্তকে। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার শিকার সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
টিকলেন না সুরিয়াকুমার
ফাইনালের মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলকে আরও বিপদে ফেলে ফিরলেন ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান।
কাগিসো রাবাদার আগের ওভারেই অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও এবার আর পারলেন না সুরিয়াকুমার। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারের ব্যাক-অব দা লেংথ ডেলিভারিটি অফ সাইডে সরে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে খেলেন সুরিয়াকুমার। কিন্তু শটে ছিল না জোর। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নেন হাইনরিখ ক্লসেন।
৪ বলে ৩ রান করে ফেরেন সুরিয়াকুমার। ক্রিজে ভিরাট কোহলির সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান আকসার প্যাটেল।
অল্পের জন্য বাঁচলেন সুরিয়াকুমার
পাওয়ার প্লেতে আরেকটি উইকেট হারাতে পারত ভারত। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। কাগিসো রাবাদার বলটি মিড-অন ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে ওড়াতে চান ব্যাটসম্যান। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল উঠে যায় উপরে।
অনেকটা পিছনের দিকে দৌড়ে গিয়েও বলের নাগাল পাননি ফিল্ডার। তখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি সুরিয়াকুমার।
মহারাজের জোড়া শিকারে চাপে ভারত
প্রথম ওভারে দুর্দান্ত শুরুর পর জোড়া ধাক্কা খেল ভারত। তিন বলের মধ্যে ছন্দে থাকা অধিনায়ক রোহিত শার্মা ও কিপার-ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তকে হারাল তারা। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল দলটি।
মারকো ইয়ানসেনের করা প্রথম ওভারে ১৫ রান নেয় ভারত। দ্বিতীয় ওভারে কেশভ মহারাজকে আক্রমণে আনেন এইডেন মারক্রাম। এই ওভারের শুরুটাও দলটির হয় দারুণ, প্রথম দুই বলেই চার মারেন রোহিত। কিন্তু পরের ডেলিভারি ডট দেওয়ার পর চতুর্থ বলে করেন সুইপ। কিন্তু ব্যাটে ঠিকমতো লাগাতে পারেননি তিনি। স্কয়ার লেগে নিচু ক্যাচ নেন হাইনরিখ ক্লসেন।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে প্রথম বলে রান নিতে পারেননি পান্ত। পরের বলে তিনিও করেন সুইপ। তার ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে বল উঠে যায় ওপরে, সহজ ক্যাচ নেন কিপার কুইন্টন ডি কক। রিপ্লে দেখে আউট নিশ্চিত করেন তৃতীয় আম্পায়ার।
২ চারে ৫ ৯ রান করে ফেরেন রোহিত। আর রানের খাতাই খুলতে পারেননি পান্ত। ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
ক্রিজে ভিরাট কোহলির সঙ্গী সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
তিন চারে শুরু কোহলির
আসর জুড়ে ছন্দের খোঁজে থাকা ভিরাট কোহলি ফাইনালে দিয়েছেন ভালো শুরুর আভাস। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিনটি চার মেরেছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান।
মার্কো ইয়ানসেনের প্রথম বলটি লেগ সাইডে ঠেলে এক রান নেন রোহিত শার্মা। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন কোহলি। আরেকটি ফুল লেংথ বলে কাভার দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। ওভারের চতুর্থ বলে ডাবল নেওয়া কোহলি পরের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি।
ওভারের শেষ বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মারেন কোহলি। প্রথম ওভার থেকে আসে ১৫ রান।
ব্যাটিং পিচ
কেনসিংটন ওভালের একেবারে মাঝের উইকেটে খেলা হবে ফাইনাল। পিচ রিপোর্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ইয়ান বিশপ ও ইংলিশ সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন বলেছেন, তাই দুই দিকেই বাউন্ডারি প্রায় সমান। পিচে নেই কোনো সবুজ ঘাস। বল খুবই ভালোভাবে ব্যাটে আসবে বলে আশা করছেন তারা। সঙ্গে উইকেট থেকে বাউন্সও পাবেন পেসাররা।
পরিবর্তন নেই দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশেও
প্রতিপক্ষের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাও একাদশে পরিবর্তন আনেনি পরিবর্তন। আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার ম্যাচে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়েই শিরোপার জন্য লড়বে প্রোটিয়ারা। টানা তিন ম্যাচ একই একাদশ নিয়ে খেলছে তারা।
দুই ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়ার সঙ্গে আছেন পেস অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন। আর দুই বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ ও তাব্রেইজ শামসির সঙ্গে হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে এইডেন মারক্রামকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, তাব্রেইজ শামসি।
অপরিবর্তিত একাদশ ভারতের
শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের একাদশ নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামছে তারা। বেশ কয়েকটি ম্যাচ ধরেই একই একাদশ নিয়ে খেলছে ২০০৭ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
ভারত একাদশ: রোহিত শার্মা (অধিনায়ক), ভিরাট কোহলি, রিশাভ পান্ত, সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শিভাম দুবে, আকসার প্যাটেল, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ ইয়াদাভ, জাসপ্রিত বুমরাহ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
কয়েন নিক্ষেপ করলেন এইডেন মার্করাম। ‘টেইলস’ কল করলেন রোহিত শার্মা। উঠলও তাই। টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মার্করাম বললেন, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিংই নিতেন। দুই অধিনায়কই বারবাডোজের শুষ্ক উইকেটকে আগে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো মনে করছেন।
ভারতের চোখ শিরোপা পুনরুদ্ধারে, প্রথমের খোঁজে দ.আফ্রিকা
নকআউটের চাপে ভেঙে পড়ার দুর্নাম এবং নামের পাশে দীর্ঘদিন সেঁটে থাকা ‘চোকার’ শব্দটি হয়তো মুছে দিতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার অভিযানের পূর্ণতা দেওয়ার পালা। তবে, প্রথম কোনো বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বপ্নে বিভোর দলটির সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত দারুণ শক্তিশালী ভারত।
প্রায় এক মাসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চূড়ান্ত সাফল্যের খোঁজে ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। বারবাডোজে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু মাঠের লড়াই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসর ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারত। পরে ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও সেবার খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে। ১৭ বছরের অপেক্ষা ঘুঁচিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে নামছে রোহিত শার্মার দল।
শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকা একেবারেই নতুন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে যে প্রথমবার খেলতে নামছে দলটি। তাই ইতিহাস গড়ার হাতছানি এইডেন মার্করাম, কুইন্টন ডি ককদের। প্রথমবারেই বাজিমাত করতে পারবেন তারা?
অবশ্য যে দলই জিতুক, একটি ইতিহাস হবে নিশ্চিতভাবেই। চলতি আসরে দুই ফাইনালিস্টের কেউই হারেনি কোনো ম্যাচ। আট ম্যাচের সবকটি জিতেছে প্রোটিয়ারা। ভারতের একটি ম্যাচ ভেসেছে বৃষ্টিতে, জিতেছে বাকি সাতটি। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম দেখা মিলবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের।
বারবাডোজের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য আছে বৃষ্টির শঙ্কা। তবে এই ম্যাচের জন্য আছে রিজার্ভ ডে। দ্বিতীয় দিনেও ম্যাচে ফল না এলে তখন যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে দুই দলকে।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে ভারত। ২৬ ম্যাচের ১৪টি জিতেছে তারা। ফল আসেনি এক ম্যাচে। বাকি ১১টিতে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের ছয় দেখায় চারটিই জিতেছে ভারত।