একশো তরুণের অংশগ্রহণে ঢাবিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কর্মশালা

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উদ্ভাবন ও কৌশলগত নীতি চর্চায় অর্থের যোগান বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া এসছে কর্মশালায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2022, 08:35 AM
Updated : 23 Sept 2022, 08:35 AM

বায়ু দূষণ রোধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উদ্ভাবন ও কৌশলগত নীতি চর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একশ তরুণের অংশগ্রহণে হল কর্মশালা।

ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এবং ক্লাইমেন্ট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল শুক্রবার সকালে ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। দেশের সরকারি-বেসরকারি দশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাঁচটি সংগঠন থেকে একশ জন তরুণ তাতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব এনার্জির সহযোগী অধ্যাপক এসএম নাসিফ শামস।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “ইয়ুথ হল এজেন্ট অব চেঞ্জ। তাদের পক্ষেই পরিবর্তন করা সম্ভব, ইনোভেশন করা সম্ভব। “

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উদ্ভাবন ও কৌশলগত নীতি চর্চায় অর্থের যোগান বাড়ানোর তাগিদ দেন এই অধ্যাপক।

“নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে সবচেয়ে কম খরচ করা হয়। বিশ্বে রিাসর্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে বেশি খরচ করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। জিডিপির ৪ শতাংশ খরচ করা হয় সেখানে। আমরা হলাম সবচেয়ে তলানিতে। যদি ইনোভেশনকে অগ্রসর করে নিতে হয়ে, যদি রিাসর্চকে অগ্রসর করে নিতে হয়, তাহলে এক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণও বাড়াতে হবে ।”

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিয়ে অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আমরা কার্বন নিঃসরণ কমিয়েনিয়ে আসতে পারি।“

বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে একটি পরিসংখ্যানের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।

“অন্যান্য ফসিল ফুয়েল বা মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০ ভাগের একভাগ কার্বন নিঃসরণ হবে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশের মতো দেশ, যদিও আমরা পৃথিবীর ০.৫৬ শতাংশ নিঃসরণ করি, তারপরও আমরা বড় ভিক্টিম। আমাদের বাঁচার জন্যই আমাদের এই পথে অগ্রসর হতে হবে।“

কর্মশালায় অংশ নেওয়া ক্লাইমেন্ট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, “আজকে যে সময়ে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে, সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবনে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ কিন্তু চাচ্ছে জ্বালানি। সেটা ফসিল হোক আর রিনিউয়েবল হোক, সেটা কিন্তু বিবেচনা করছে না। “

তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কয়লা দিয়ে যেসব বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট হওয়ার কথা ছিল, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের, সেটি কিন্তু তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। আমাদের বড় পুকুরিয়া থেকে যেখানে আগে কয়লা উত্তোলন সীমিত আকারে চলে গিয়েছিল, সেখানে কিন্তু বাস্তবতার জন্য কয়লা উত্তোলন কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “

অন্যদের মধ্যে ক্লাইমেন্ট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি লিড মনোয়ার মোস্তফা, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।