“জীবনের নেতিবাচক সময়কে নিয়ে বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সময় পরিবর্তন হলে সমস্যার সমাধানও হয়।”
Published : 22 Aug 2023, 08:07 PM
কোনো শিক্ষার্থী মানসিক চাপে পড়লে কিংবা বিষণ্নতায় ভুগলে তার পাশে দাঁড়াতে সহপাঠীদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত ‘মেন্টাল হেলথ এন্ড ওয়েল-বিয়িং’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “জীবনের নেতিবাচক সময়কে নিয়ে বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সময় পরিবর্তন হলে সমস্যার সমাধানও হয়।
“এক্ষেত্রে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দূর করতে সহপাঠীদের যত্মশীল হয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমেও খারাপ সময় অতিক্রম করার শক্তি জোগাবে।”
শিক্ষার্থীদের ‘স্মার্ট নাগরিক’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছেন। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে উত্তরণে এধরনের কর্মশালা কার্যকরী বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
কর্মশালায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ
কীভাবে মানসিক চাপকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণের মাধ্যমে সেগুলোকে মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি সমাজে মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে উদাসীনতা রয়েছে, সেগুলো দূর করার মাধ্যমে সচেতনতার প্রতি আলোকপাত করেন।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সিফাত-ই সাইয়েদ বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন আশেপাশের বন্ধুদের যাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজন আছে, তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। বাবা-মার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেওয়ার বিষয়েও তিনি জোর দেন। পাশাপাশি কখনও প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, “বাজার অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী চলতে গিয়ে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নানাবিধ মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়ছে বা উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, এরকম কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
কর্মশালায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্র-উপদেষ্টাগণ অংশ নেন।