ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে প্রতারকদের ব্যাপারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেছেন, “তিনদিন ধরে অনলাইনে একদল প্রতারক চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। বাস্তবিকপক্ষে কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এই চক্রের মূল কাজ হল আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যারা এ সম্পর্কে জানেন না, তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এজন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে।”
শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ সেশনের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা।
বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, “চক্রটির হাতে এখন পর্যন্ত কেউ প্রতারিত হয়েছেন এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা ইতোমধ্যেই এ চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুতই চক্রটি গ্রেপ্তার হবে।”
দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বেলা ১১টায় একযোগে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ অংশের জন্য বরাদ্দ ৪৫ মিনিট। ৪০ মার্কের লিখিত অংশের জন্য বরাদ্দ ৪৫ মিনিট।
শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা হওয়ার কথা জানিয়ে উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, “কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি দপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৯ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন। সেই হিসেবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।