চবির প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়লেন আরও ৩ শিক্ষক

নতুন প্রক্টরকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ও ফেইসবুকে চলছে নানা আলোচনা, তার মধ্যেই তিনজনের পদত্যাগ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2023, 01:00 PM
Updated : 13 March 2023, 01:00 PM

আগের দিন ১৭ জনের পদত্যাগের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক পদ থেকে সোমবার পদত্যাগ করেছেন আরও তিন শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর জানান, চারটি প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়তে সোমবার পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনজন।

তাদের একজন মোহাম্মদ ইয়াকুব সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন।

পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশাসনে রদবদল চলেই। কেউ যেতে চাইলে যাবেন, কেউ থাকতে চাইলে থাকবেন। কিন্তু গতকাল এমন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি আমাদের মতাদর্শী না।”

রোববার ১৮ পদ থেকে যে ১৭ জন পদত্যাগ করেন, তাদের মধ্যে অধ্যাপক রবিউল হাসান ভূঁইয়া প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। তার পদত্যাগের পরপরই ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সসের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে প্রক্টর নিয়োগ করা হয়। এরপর থেকে নতুন প্রক্টরের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে ক্যাম্পাসে ও ফেইসবুকে নানা আলোচনা চলছে।

Also Read: চবিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে প্রক্টরসহ ১৭ শিক্ষকের পদত্যাগ

ইয়াকুব বলেন, “ছাত্রজীবন থেকে উনি (নতুন প্রক্টর) শিবির-ছাত্রদল এগুলো করে এসেছেন। এ রকম একজন ব্যক্তিকে প্রক্টরের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো- এটা আমার আদর্শের জায়গা থেকে মেনে নেওয়া সম্ভব না। তাই এর প্রতিবাদে আমি আমার পদ থেকে সরে এসেছি। আদর্শিক জায়গায় আসলে আপস করা সম্ভব না।”

তবে নুরুল আজম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। নিজের পরিবারের বিভিন্ন জনের আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ততার তথ্য তুলে ধরে তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “সবার জ্ঞাতার্থে আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় নিম্নে তুলে ধরলাম। অতীতের ন্যায় বর্তমানেও আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

নুরুল আজিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউই কখনও শিবির কিংবা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।

“এখানে আমার চেয়ারে অন্য কেউ বসলে তাকে নিয়েও এরকম কথা উঠত। এটা প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি মনে করি, তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। যে পদগুলো খালি হয়েছে সেগুলো শিগগিরই পূরণ করা হবে।”

সোমবার পদত্যাগীদের মধ্যে বাকি দুজন হলেন খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এবং অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুমন বড়ুয়া।