ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান

স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের স্বীকৃতি এই পুরস্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই পুরস্কার পেলেন।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- শেখ আতিয়া ইসলাম, মোছা: কানিজা মুহসিনা, পাপড়ি দাস (অর্থনীতি), মো. এরশাদুল হক, তাসফিয়া তাজিন, আরেফিন রহমান আলিফ, ফারিহা তাবাসসুম, মো. জামিলুর রহমান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. তানভির হাবিব, মানসুরা এমদাদ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), কামরুন নাহার কলি, খাদিজা খাতুন (সমাজ বিজ্ঞান), ইশরাক সাব্বির নির্ঝর (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা)

মো. রবিউল ইসলাম, আফসানা আলম, মারুফ হাসান রুমি, নিশাত তাবাসসুম, সুক্তি বালা (লোক প্রশাসন), মাহিমা ফেরদৌসি মিথিলা (নৃবিজ্ঞান), সাদিয়া আফরিন, আবদুল্লাহ আল মামুন (পপুলেশন সায়েন্সেস), নাসরিন জেবিন, মাহাবুবা ইসলাম মিম, ইতু আহমেদ (শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন), নওশিন তাবাসসুম, রিফাতুর রহিম, লিয়া তেরেসা কস্তা (উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ),

 মো. আজিজুর রহমান খান, ফারিহা খান, সুমাইয়া তাসনিম (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ), সাইয়্যেদ শাহজাদা আল কারীম, উপেন্দ্রনাথ রায় (টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্টাডিজ), সুমাইয়া ইকবাল, নওশিন শরমিলা রিতু, নুরেন দুরদানা (ক্রিমিনোলজি) এবং মো. মুতিউল ইসলাম (কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “যুগের চাহিদা অনুযায়ী ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে অধ্যয়নের জন্য এই অনুষদের ১৬টি বিভাগ তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং তাদের কাজ সমাজে বিকাশমান।

“সমাজকে বিশ্লেষণ করা ও সমালোচনার মাধ্যমে সমাজকে সুন্দর করার জন্যে কাজ করে এই অনুষদ। অনুষদের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী বিশ্লেষণাত্মক। সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণের ক্ষমতা অর্জন করে তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে।”

‘ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড’ বক্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, “আমাদের দুই ধরনের আধুনিকতার সঙ্গে বসবাস করতে হবে। একটি ‘তাহাদের আধুনিকতা’ (পাশ্চাত্য) আরেকটি ‘আমাদের আধুনিকতা’। এই দুইটির মধ্যে সমন্বয় করতে না পারলে আমরা বিপদে পড়ব। আমাদেরকে স্বার্থপরতা ও পরার্থপরতাকে মেলাতে হবে। এটাকে মেলাতে না পারলে এককেন্দ্রিক হয়ে যাব।

“মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি যে পেশাতেই যান আত্মকেন্দ্রিক বা স্বার্থপর না হয়ে পরার্থপর হতে হবে। সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।”

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, “যারা আজকে এই কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট করেছে, তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, তোমরা দেশের কথা ভুলবে না, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলবে না। মানুষের জন্য কাজ করবে।”

অনুষ্ঠানে উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য  (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন পুস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।