বাহা পূজার মন্দির বানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুন্দরবন’ এলাকায়। অন্যান্য যজ্ঞ হয় ‘সপ্তম ছায়ামঞ্চে’।
Published : 15 Mar 2025, 12:41 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মত হয়ে গেল ‘সাঁওতাল বাহা বঙ্গা’ উৎসব।
‘ভূমি প্রকৃতি ও সংস্কৃতি বাঁচলেই প্রাণও বাঁচবে’ স্লোগান নিয়ে দুইদিন ব্যাপী উৎসবের শুক্রবার ছিল সমাপনী দিন।
বাহা পূজা, শাল ফুল বিতরণ, প্রসাদ বিতরণ ও ঐতিহ্যবাহী বাহা নৃত্যসহ নানা আয়োজন ছিল এবারের উৎসবে।
বাহা পূজার জন্য মন্দির বানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুন্দরবন’ এলাকায়। অন্যান্য যজ্ঞ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সপ্তম ছায়ামঞ্চে’।
বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নীরলা মার্ডি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাভাবিকভাবে বাহা বঙ্গা উৎসব হয় তিন দিন। আমরা কমিয়ে এবার দুই দিনে নিয়ে এসেছি।
“প্রথম দিন আমরা ‘বাহা উম’ দিয়ে উৎসব শুরু করি। বাহা উমের সঙ্গে বাহা পূজার কার্যক্রম থাকে। যেমন- মন্দির নির্মাণ, নাচতে নাচতে পুরোহিতকে মন্দিরে নিয়ে আসা ইত্যাদি।”
নীরলা মার্ডি বলেন, “দ্বিতীয় দিনের উৎসব হচ্ছে ‘বাহা সীরদি’। এর মধ্যে ‘বাহা নৃত্য’, পূজার পর ভোগ ও জলকেলিও থাকে। আর প্রত্যেকটা যজ্ঞের গান থাকে আলাদা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন- ‘আরফি’ ও ‘গণকৃষ্টি’ এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
গণকৃষ্টির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মায়মুনা বিনতে সাইফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গণমানুষের কৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি, সেটার অংশ হিসেবেই বাহা বঙ্গা উৎসবের আয়োজন।”
আরফির সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ইগিমি চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “আদিবাসীদের কোনো সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যায়, সেই প্রচেষ্টাই আমাদের।
“অতীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমরা ছিলাম, আগামীতেও থাকব।”