“আমি আসিফ (আসিফ নজরুল) স্যারসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি ছাত্রদেরকে আড়াই মাস পরে রাজু ভাস্কর্যে এসে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাঁড়াতে হয় তাহলে আপনাদের কাজটা কী?”, বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
Published : 22 Oct 2024, 12:39 AM
দ্রুততম সময়ে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা এবং সংগঠনের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ মশাল মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।
তারা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগও দাবি করেন।
মশাল মিছিলটি টিএসসিতে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে।
সেখানে সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমি আসিফ (আসিফ নজরুল) স্যারসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি ছাত্রদেরকে আড়াই মাস পরে রাজু ভাস্কর্যে এসে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাঁড়াতে হয় তাহলে আপনাদের কাজটা কী?
“আসিফ স্যার, আপনার উপর শিক্ষার্থীরা ভরসা রেখেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি পদে পদে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রলীগের সবাইকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
পুলিশ প্রশাসনে যারা ‘অসহযোগিতা করছেন’, তাদের বিকল্প খুঁজতে দ্বিধা করা হবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশে। বলা হয়, “আমরা প্রয়োজনে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স গঠন করব। এখনও সময় আছে, সরকারকে সহায়তা দিতে হবে।”
৫ আগস্ট ছাত্রলীগও আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়েছে মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, “তারা ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক ছাত্রলীগের কোনোদিন বাংলাদেশে পুনর্বাসন হবে না।
“ছাত্রলীগের মাথাচাড়া দেওয়া নেতাকর্মীদের বলতে চাই, ১৭ জুলাই সব লীগকে ক্যাম্পাস থেকে উৎখাত করা হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো প্রান্তে মাথাচাড়া দিলে ভুল ভাবছ, তোমাদের কোনোভাবে এই বাংলাদেশে পুনর্বাসন হবে না।”
রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে এই সমন্বয়ক বলেন, “এখনও সময় আছে বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে আপনার রাস্তা বেছে নিন। সংবিধান যদিও আমরা মানি না, সেই সংবিধানের শপথভঙ্গ করেছেন। শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার কথা ভাবলে ভুল ভাবছেন। শেখ হাসিনার পুনর্বাসন এই বাংলার মাটিতে আর কোনোদিনও হবে না।
“হাসিনাকে বাংলায় আসতে হবে, তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, ফাঁসিতে তাকে ঝুলতে হবে।”
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “বাংলার মাটিতে এখনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যিনি ‘স্বৈরাচারের দোসর’ ছিলেন, আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। অন্যথায় এই ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর' 'মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ' 'মুজিব লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'এক হয়েছে সারাদেশ, ছাত্রলীগের দিন শেষ ' ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশীদ,আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজিদা আফিফা অদিতি, রাসেল আহমেদও বক্তব্য রাখেন।