ভিসি চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া ঘুরে আবার সেখানে এসে তা শেষ হয়।
Published : 19 Jan 2025, 01:16 AM
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও ’দিল্লির আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার রাত ১১টার দিকে 'আগ্রাসন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া ঘুরে আবার সেখানে এসে তা শেষ হয়।
বাংলাদেশ-ভারতের কয়েকটি স্থানের সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াসহ নানা ঘটনায় বিএসএফ, স্থানীয় মানুষ ও বিডিআরের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সবশেষ শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে হাতাহাতি, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দিনভর সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী পতাকা বৈঠকে বসে।
এদিন দুপুর থেকে শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা এবং কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি সীমান্তবর্তী মাঠে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান।
পরে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলে ‘জেগেছে রে জেগেছে, বাংলাদেশ জেগেছে’, ‘দিল্লির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সীমান্তে হামলা হলে, জবাব দেবে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
পরে ভিসি চত্বরে সমাবেশে এম এ সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, "বাংলাদেশ ভারতীয় আগ্রাসন চায় না। তারা দিল্লিকে লাল কার্ড দেখিয়ে ঢাকা স্লোগান দিয়ে ভারতকে জানাতে চায় তাদের আগ্রাসন আর মেনে নেওয়া হবে না।
“ভারত যদি বাংলাদেশের দিকে আবার আঙুল তোলে তাহলে সেই আঙ্গুল ভেঙে দেওয়া হবে।“
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম কৃষক সমাজ অস্ত্র ধরেছিল, ঠিক তেমনিভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও একই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, “আগে বিজিবি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সীমান্ত রক্ষা করেছে, এখন বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত।"
আরেক শিক্ষার্থী মো. হাসিব আল ইসলাম বলেন, দিল্লি যখন পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না তখন বোঝা যায় তারা ঢাকার বন্ধু হতে পারে না।
”ভারত বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু হলে পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দেওয়ার দুঃসাহস দেখাত না।”