জিপিএ-৫ পাওয়া শতাধিক শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
Published : 16 Nov 2024, 06:52 PM
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নাটোরের যারা জিপিএ-৫ পেয়েছেন, তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ।
শনিবার কলেজটির মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন বলে শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফিন। নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রেহেনা খাতুনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উজমা চৌধুরী বলেন, “তোমরা এখানে অতিথি হিসেবে এসেছ, এটা যেন শেষ না হয়। তোমাদের অর্জন ধরে রাখতে হবে। একদিন তোমরা আলোকিত মানুষ হবে।”
তিনি বলেন, “সারাবিশ্বেই নার্সিং অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরেই এ পেশায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের স্বপ্ন এ নার্সিং কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জন করে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ুক। শিক্ষার্থীরা যেন সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া নাটোর, নরসিংদী ও হবিগঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে আমাদের হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে তারা কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের অদম্য চেষ্টা ও কলেজের বিভিন্ন উদ্যোগ একদিন স্বাস্থ্য খাতে বড় উদহারণ তৈরি করতে সক্ষম হবে।”
২০১৬ সালে নাটোরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল চালু করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। পরবর্তীতে সেখানে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ চালু করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বর্তমানে নার্সিং খাতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানটিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক, নিজস্ব আধুনিকমানের হাসপাতালে হাতে-কলমে শেখার ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক ল্যাব, বিশাল ক্যাম্পাস ও স্বল্প খরচে আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে।
“বিএসসি ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি- এ তিনটি কোর্সে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে কলেজটিতে। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজটির পাঠ্যক্রম বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল নির্ধারিত সিলেবাসে সাজানো হয়েছে।”