আগামী ৯ মার্চ উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ভোট হবে। এতে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নামের দুটি প্যানেল এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
Published : 25 Feb 2024, 07:08 PM
রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ১৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে সম্মিলিত পরিষদ।
রোববার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইশতেহার ঘোষণা করেন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সিদ্দিকুর রহমান।
আগামী ৯ মার্চ উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) নির্বাচনে ভোট হবে। এতে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নামের দুটি প্যানেল এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
মোট ৩৫টি পরিচালক পদে দুই প্যানেল থেকে ভোটের লড়াইয়ে আছেন ৭০ জন। নির্বাচিত পরিচালকরা পরে নিজেদের মধ্য থেকে সভাপতিসহ পর্ষদের অন্যান্য নেতা ঠিক করে নেবেন।
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি।
সম্মিলিত পরিষদের সাবেক নেতা সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ছিলেন অনুষ্ঠানে। তার মেয়ে শেহরিন সালাম ঐশী নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. ইমরানুর রহমানও এই প্যানেল থেকে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
সিদ্দিকুর রহমান ঘোষিত ইশতিহারের মধ্যে রয়েছে- ১. এসএমই শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, ২. ব্যবসা সহজিকরণ ৩. রাজস্ব সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ৪. শুল্ক/আয়কর/ভ্যাট/নগদ সহায়তা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ৫. ব্যাংক ও আর্থিক সেবা সংক্রান্ত উদ্যোগ ৬. পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ ৭. পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ৮. মধ্যম শ্রেণির ব্যবস্থাপকদের কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ৯. ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের জন্য প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা ও ১০. আরএসসি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমরা নতুন, পুরনোদের সমন্বয়ে প্যানেল দিয়েছি। এখানে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকজন যেমন আছেন, তেমনি নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারাও আছেন। এই প্যানেল যদি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে, তাহলে সেক্টরের সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে শিল্পের কল্যাণে কাজ করে যাবে।”
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার এসএম মান্নান কচি বলেন, “আমরা একটা সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন উপভোগ করব। পোশাক খাতের সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত করোনা মহামারী পরবর্তী সময়েই মন্দা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই নির্বাচনটা হচ্ছে। নির্বাচনে দুটি পক্ষ হলেও জিততে পারলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব।”