“এনবিআর আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছিল তারা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করবে, কিন্তু করে নাই,” বলেন আককাছ আলী।
Published : 14 Jan 2024, 08:09 AM
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএল ব্যাংকে কর্মরতদের কর বিভাগে বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে আগের চেয়ে বেতনের উপর কর বেড়ে যাবে দাবি করে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এই ব্যাংকগুলোর কর্মীরা।
স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এই মানববন্ধন হয়। পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আককাছ আলী আকাশ বলেন, “এনবিআর ভুল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তারা আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছিল তারা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করবে, কিন্তু করে নাই। প্রজ্ঞাপন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উল আলম ব্যাকুল বলেন, “সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএল পাবলিক লিমিটেড হলেও সরকার সব শেয়ারের মালিক। রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্ব-শাসিত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসণ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমরা সেভাবেই বেতন পেয়ে আসছি। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি অনুবিভাগ হয়েও এনবিআর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মানছে না।”
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বেতন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম। সেজন্য ভাতা দেওয়া হয়। এখন এই ভাতাও করের আওতায় আসছে। এমনকি ২০১৫ সালের পে স্কেল ঘোষণার পর থেকে যদি হিসাব করে এনবিআর, তাহলে তা আরও বেড়ে যাবে।
চাকরি (ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান) আদেশ ২০১৫ এর সূত্র ধরে এনবিআর সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতনের উপর কর নির্ধারণ করে আসছে। সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাসের উপর শুধু কর দিতে হয়। অন্য সব ভাতা ও সুবিধা আয়করমূক্ত। সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএল স্ব-শাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি কর্মচারী শ্রেণিতে কর দিয়ে আসছে। এখন তাদের ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত করায় বাড়তি কর দিতে হবে।
মানববন্ধনে আশরাফ উল আলম ব্যাকুল বলেন, এখন এনবিআরের হিসাবে আয়কর দিলে তাদের আয়কর বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)