পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের কেনার ক্ষমতা বাড়ছে: প্রতিমন্ত্রী

সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি চীনের সঙ্গে, এরপর রয়েছে ভারত, সংসদে বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2024, 03:29 PM
Updated : 27 Feb 2024, 03:29 PM

পণ্যের মূল্য কিছুটা বাড়লেও জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে বলে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার তার পক্ষে এ বক্তব্য সংসদে পড়ে শোনান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে সরকার প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করিয়া যাইতেছে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বিরাট একটি অংশ দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে।

“সাধারণত ভোজ্যতেল, চিনি ও মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সহিত আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত। স্থানীয় পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাইলেও জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।” 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ঘাটতি ছিল চীনের সঙ্গে, ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার। 

এছাড়া ভারতের সঙ্গে সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন, মিয়ানমারের সঙ্গে ১১৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি ছিল।

তিনি বলেন, “পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেশি। আর সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে ঘাটতি বেশি।” 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এক সময় দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল। তখন বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকত এবং বেশি চা রপ্তানি করা হত। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান। 

“মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য দেশে উৎপাদিত প্রায় সকল চা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে রপ্তানির জন্য খুব বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকে না। তবে গত বছর তথা ২০২৩ সালে দেশে ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড হইয়াছে। তার মধ্যে সাড়ে ১০ লক্ষ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। পক্ষান্তরে মাত্র ৬ লক্ষ কেজি চা পুনঃরপ্তানি ও ভ্যালু এডেড চা তৈরির জন্য আমদানি হয়ে থাকে।” 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রমজান মাসে আবশ্যকীয় দ্রব্যাদির মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় মধ্যে রাখতে বাজারে নিত্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”