‘গুলি’ করাটাই শেষ সমাধান নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনার মুখে থাকা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এখনই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে যেতে চান না। তার যুক্তি, এতে হিতে বিপরীত হবে। তিনি বলেছেন, “গুলি করাটাই শেষ সমাধান না। ট্রিগার টেপাটা তো ইজি। গুলি একবার বেরিয়ে গেলে তো ঢোকানো যাবে না। লেট আস ট্রাই বিফোর দ্যাট।”

বুধবার গুলশানে একটি ব্যাংকের অনুষ্ঠান শেষে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর দেশের বাজারে ভোজ্যতেল, চিনি, পশুখাদ্য, ফলসহ আমদানি করা প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম এখন দ্বিগুণের বেশি। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ, আলু, শাক সবজির দামও ঊর্ধমুখী।

ব্যবসায়ী ‘সিন্ডিকেট’ অতিমুনাফার জন্য কারসাজি করে এসব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে কাজ করছে না দাবি করে সংসদে এমপিদের তোপের মুখেও সম্প্রতি পড়তে হয়েছিল বাণিজ্যমন্ত্রীকে।

এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- “সংসদের ভেতরে-বাইরে সংসদ সদস্যরা বলছেন- আপনার হাতে ট্রিগার আছে, কিন্তু আপনি গুলি করেন না।”

জবাবে টিপু মুনশি আরও বলেন, “আমাদেরকে সবরকমভাবে চেষ্টা করতে হবে। এমনকিছু ব্যবস্থা নিলাম যে হঠাৎ করে সাপ্লাই চেইনটা বন্ধ হয়ে গেল...সেজন্য আমাদের সবদিক লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে ভোক্তাদের আরও কষ্ট হবে, ভোগান্তি বাড়বে। যার জন্য আমরা চাই আলোচনা করে, আইনের মধ্যে থেকে করতে।”

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের কথা বলেন তিনি।

বর্তমানে তেল চিনির পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন বাজারে ঘটেনি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আসেনি কোনো জোরালো পদক্ষেপ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। গতকাল দেখলাম যে স্টোর থেকে কেজি প্রতি দুই টাকা কম মূল্যে আলু বের হচ্ছে। যে টার্গেট দিয়েছি, সেখানে এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। গতকালকে আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি দেশের সমস্ত ডিসিদের সাথে কথা বলেছে, যেন তারা এটা ইমপ্লিমেন্ট করার জন্য মাঠে নামে।"

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)