ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকায় কিনবে ট্যানারি।
Published : 25 Jun 2023, 12:58 PM
ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার; ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে।
ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।
ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, গতবছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।
এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার এই দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এবার গরমের মৌসুম হওয়ায় কোরবানির ৭ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যেই চামড়াতে লবণ যুক্ত করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। এক্ষেত্রে কোরবানির হাট থেকেই প্রয়োজনীয় লবণ কিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
চামড়ার ভালো দাম পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশী বলেন, “ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য কারসাজি করে তাহলে আমরা কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেব। আমরা আশা করি এমনটি হবে না।"
সারাদেশের লবণযু্ক্ত চামড়া পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আনা হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পরবর্তী সাত দিন ঢাকায় বাইরের চামড়া যাতে না আসে সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। লবণের কোনো ঘাটতি নেই। তাই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।
পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।