বায়রা নির্বাচনে নূর আলী-বাশার প্যানেলের জয়

কার্যনির্বাহী কমিটির ২৭টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ‘বায়রা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ’।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে নূর আলী ও আবুল বাশার প্যানেলের সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ।

শনিবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় গণনা শেষে রাত আড়াইটার দিকে এই প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

কার্যনির্বাহী কমিটির ২৭টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছেন তারা। এই প্যানেলের প্রধান সমন্বয়কারী ইউনিক গ্রুপের এমডি এবং বায়রার দুবারের সভাপতি নূর আলী; আর প্যানেলের প্রধান বায়রা আরেক সাবেক সভাপতি আবুল বাশার।

প্যানেল প্রধান হিসেবে আবুল বাশার বায়রার নতুন সভাপতি হবেন‌। মহাসচিব এবং বাকি পদগুলোতে কারা থাকবেন, তা প্যানেল নির্ধারণ করবে।

২০২২-২০২৪ সালের মেয়াদে এই নির্বাচনের জন্য শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভোটগ্রহণ হয়।

ভোটগ্রহণের সময় গোলযোগ না হলেও সন্ধ্যার পর গণনার সময় প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করেন। সমর্থকেরা যার যার প্রার্থীকে বিজয়ী দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময় পুলিশ ও আনসাররা ভোটকেন্দ্র থেকে লোকজনকে বের করে দেন।

রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক হট্টগোলকারীদের সরিয়ে দিয়ে মাইকে ভোট পুনর্গণনার ঘোষণা দেন।

রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পুনর্গণনা চলে। পরে রাত আড়াইটায় ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

বায়রার এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল তিনটি প্যানেল। এর মধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বায়রার সাবেক সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি (সংসদ) বেনজির আহমেদ ও বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন।

নূর আলী ও আবুল বাশারের প্যানেলটি ‘সিন্ডিকেট বিরোধী’ প্যানেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ভোটাররা। অন্য প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ফারুক ও সাবেক মহাসচিব রিয়াজ উদ্দিন।

নির্বাচনে ১০৪২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে ৯৬৯টি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হোটেল সোনারগাঁওয়ের চারদিকে প্রার্থীদের পোস্টার ও ফেস্টুনে ভরে যায়। ঢাকার বিভিন্ন সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সড়ক বাতির খুঁটিতে লাগানো হয় পোস্টার ও ব্যানার।