কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা থাকার তাগিদ।
Published : 14 Aug 2023, 07:32 PM
সবার সাইবার নিরাপত্তা সরকারের পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব নয় জানিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
তিনি বলেন, “স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হলে স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি হবে এবং এভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হবে।”
সোমবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং সিএসআর উইন্ডো আয়োজিত ’ক্রিয়েটিং এ নেট জিরো স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নেট জিরো হচ্ছে রবি'র মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ঘোষিত একটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস কর্মসূচি।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে ‘নেট জিরো বাংলাদেশ’ গঠনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।
বিটিআরসি প্রধান বলেন, “সরকার সাইবার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এটা নিজেরটা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে।”
কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “কার্বন নিঃসরণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা থাকার দরকার। সরকারি ও বেসরকারি সব সেক্টরে এই নীতিমালা না থাকলে, কে কতটুকু কার্বন উৎপন্ন করছে, তা কমানো সম্ভব নয়। ব্যক্তি পর্যায় থেকেই আমাদের এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।”
সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল অ্যানার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা বলেন, “আমাদের ধাপে ধাপে নেট জিরো ভিশনের কাছে যেতে হবে। আমরা সহজ পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে স্রেডাতে বিদ্যুতের ব্যবহার ৪০ শতাংশের বেশি কমিয়েছি।
“এমনকি একজন সাধারণ মানুষও নেট মিটারিং নীতি ব্যবহার করে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।”
রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি) শরীফ শাহ্ জামাল রাজ জানান, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো ভিশন নিয়ে কাজ করছে। সেই সাথে ২০৩০ সালের মধ্যে রবি তার কার্বন নির্গমন ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
নেট জিরো ভিশনের দিকে অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি জানান, রবির নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর প্রায় ১৩ শতাংশ সৌর শক্তি দিয়ে চলছে। সৌর বিদ্যুতের উপর নির্ভর করার পাশাপাশি, রবি তার কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে বৃক্ষরোপণও চালিয়ে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট অফ অ্যানার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) এর জ্বালানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ শফিকুল আলম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে রবি'র ২০২২ সালের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট উন্মোচন করা হয়।
সিএসআর ও সাসটেইনেবিলিটি বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মাহমুদ হোসেন, রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস) অনামিকা ভক্ত।