অগাস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
Published : 07 Feb 2024, 08:35 AM
খাদ্য মূ্ল্যস্ফীতির হার যখন এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ, সেই সময় অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সূচক ‘স্থিতিশীল’ বলে দাবি করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার ‘সময়োচিত পদক্ষেপ’ নেওয়ার ফলে দ্রব্যমূল্য ‘স্থিতিশীল’ এবং সরবরাহ ‘স্বাভাবিক’ রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও যাতে বাজারে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।
মঙ্গলবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
অগাস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা জুলাই মাসেও ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে প্রশ্ন রাখেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাজারে যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে।
“বাজারে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানি বাধা দূর করা, শুল্ক হার হ্রাস, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বন্দরে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করা, এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি তদারকি করাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিনি ও ভোজ্যতেলের উপর আরোপ করা শুল্কহার অধিকতর যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে যাতে রাস্তাঘাটে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে বলার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পোল্ট্রি বাজারে অনিয়ম বা মনোপলি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়ে সময়ে ভোজ্যতেল ও চিনির স্থানীয় বাজার মূল্য সমন্বয় করা হয় বলে জানান টিপু মুনশি।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)