তবে নির্বাচনের আগে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই, বলেন তিনি।
Published : 17 Oct 2023, 08:13 PM
আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট সময় পরপর জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করার একটি ফর্মূলা চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে সেটি কী রকম তা বলতে চাননি তিনি।
তিনি বলেছেন, “তেল কোম্পানিগুলোর ইনডেক্সিংয়ের ফর্মুলা ধরে আমরা একটা ফর্মুলা দাঁড় করিয়েছি। প্রাইসিং ফর্মুলাটা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত দিলে পরে বলা যাবে।
“এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। সামনে নির্বাচনের পরে হয়তো কিছু করা হবে।”
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে স্মার্ট গ্রিড নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
লোকসান কমাতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২২ সাল থেকে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল কেরোসিনের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো হয়। পরে দাম কমলেও তা আর সমন্বয় করা হয়নি। এর আগেও কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল জ্বালানি তেল।
সরকারের তরফে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকা অবস্থাতেও দীর্ঘদিন কম দামে জ্বালানি বিপণন করেছে সরকার। ফলে সেই সময়কার লোকসান কাটিয়ে উঠতে এখনই দাম সমন্বয় করা যাচ্ছে না।
তবে সম্প্রতি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পরামর্শ দিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সমঝোতা চুক্তিতেও সংস্থাটি এ নিয়ে শর্ত দিয়ে রেখেছে। এ শর্ত পূরণের চাপও রয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, “তেল-গ্যাসের একটা বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যুদ্ধের কারণে জ্বালানি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে-এমন কথা এখনও আমরা বলতে পারি না। তবে এটা চিন্তার বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এটাতে বলা যাচ্ছে না যে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে।
“বিকল্প কিছু ভাবার নেই। তেল-জ্বালানির উৎস তো এক জায়গায়। সবাই চিন্তিত। সবদেশেই প্রভাব পড়বে।”
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে যুক্তের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “রূপপুরে সঞ্চালন লাইন এখনও প্রস্তুতির অবস্থায় আছে। আগামী বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করত পারব।”