দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজের বছরের সবচেয়ে বড় সেল ‘দারাজ ১১.১১’ ক্যাম্পেইনে একদিনে দেখা মেলে মোট ২৯ লাখেরও বেশি ক্রেতার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দারাজ জানায়, গত ১১ নভেম্বর দারাজ বাংলাদেশ-এর এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ২৪ ঘন্টায় এই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা সুলভ মূল্য বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন।
এই সময় দারাজের মাধ্যমে ক্রেতারা ৫৩ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ড এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন। মূল্যছাড়ের প্রথমদিনই মোট ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পোশাক বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংখ্যাই বেশি।
দারাজ ১১.১১ সেলে দেড় লাখের বেশি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে। সেইসাথে, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সকল পণ্যের একমাত্র গন্তব্যস্থল হওয়ার প্রতিশ্রুতিকে বজায় রেখে দারাজ ১ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি গ্রোসারি আইটেম বিক্রি করেছে। তবে চাল ও তেলের মত মৌলিক পণ্য বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
মূলত, বিশ্বের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সারা বছর অপেক্ষার পর গ্রাহকরা যাতে সবচেয়ে কম দামে তাদের পছন্দের জিনিসগুলো কেনার সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যে গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ‘১১.১১’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এসময় দারাজের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে গ্রাহকরা ৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের ছাড়সহ নানা ধরনের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, দারাজ তাদের এই মেগা উৎসব উদযাপনের জন্য নির্বাচিত কিছু পণ্যে বিনামূল্যে ডেলিভারিও অফার করছে।
সেইসাথে, বিকাশ, নগদ, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ-ইবিএল কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং আরও অনেক পেমেন্ট পার্টনারদের সাহায্যে দারাজ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়ও, অর্থাৎ ক্যাশব্যাক অফারও নিশ্চিত করেছে।
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ারকে মিকেলসেন বলেন, “এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা ক্রেতাদের কাছে সম্ভাব্য সর্বোত্তম মূল্য অফার নিশ্চিত করতে চেয়েছি। এটি আমাদের বিক্রেতা ও পার্টনারদের ছাড়া সম্ভব ছিল না। এছাড়াও, দারাজে আরও অনেক নতুন বিক্রেতা যোগ দিচ্ছেন। দারাজকে ভরসা করার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
“এবারের ১১.১১-এ ক্রেতাদের অভিভূত সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আশা করি, আমরা সারা বছর ক্রেতাদের জন্য সেরা পণ্য, সেরা মূল্য এবং সেরা মান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে সক্ষম হব।”
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ সময়ে আমাদের এ বছরের লক্ষ্য ছিল ক্রেতাদের সঞ্চয় সর্বাধিক করতে সাহায্য করা এবং বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি করা।
“আমরা চেয়েছি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবেলা করায় তাদের সাহায্য করতে। সামনের দিনগুলিতে আমাদের ক্রেতাদের আরও বেশি সঞ্চয় এবং বৈচিত্র্যের মাধ্যমে সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই সাথে আরও বেশি বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসায়িক বিকাশে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”